ঢাকা, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দুটি লাল ফাইল জমা: নতুন সংকেত?

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২৫ ১৭:১১:৪২
রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দুটি লাল ফাইল জমা: নতুন সংকেত?

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কাশ্মীরে হামলার পর অমিত শাহ ও এস জয়শঙ্কর রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল।

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের রাজনৈতিক মহলে নতুন এক রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে দুটি লাল ফাইল জমা দিয়েছেন, যা নিয়ে এখন সবার মধ্যে এক জল্পনা চলছে।

এ মুহূর্তে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম পর্যন্ত, সবাই বিস্মিত—কী থাকতে পারে এই দুটি লাল ফাইলে? কিছুটা অনুমান করা হচ্ছে যে, এই ফাইলগুলো হয়তো ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা যুদ্ধের অনুমতির ব্যাপারে। এক ফাইলের মধ্যে কি যুদ্ধের শুরুর অনুমতির কথা রয়েছে? অন্যটি কি ভারতের সর্বশেষ শক্তি প্রয়োগের সংকেত?

কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই হামলার পরেই ভারতের সরকার সংসদে একটি সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেছে, যা আগামী দিনে দেশের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, এবং এখানে অমিত শাহ এবং এস জয়শঙ্কর রাষ্ট্রপতির কাছে দুটি লাল ফাইল জমা দেন। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাইল দুটি নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।

আরও পড়ুন:

কাশ্মীর হামলার পর যুদ্ধ শঙ্কা, সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সুশান্ত হালদার নামে একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “এটি হয়তো ভারতের যুদ্ধ শুরুর অনুমতির ফাইল, আর অন্য ফাইলটি দেশের শক্তি প্রয়োগের সংকেত।” যদিও সরকারি পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি, তবুও এই দুটি ফাইলের বিষয়ে জনমনে কৌতূহল তুঙ্গে।

এদিকে, কাশ্মীরের হামলার ঘটনায় অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানাশিন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসিরউদ্দিন চিশতী পাকিস্তানকে তীব্র সমালোচনা করেছেন, এবং ভারত সরকারের পক্ষ থেকে হামলার পেছনে যারা রয়েছে তাদের সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্যও দেওয়া হয়েছে।

কংগ্রেসের মুখপাত্র কেসি বেনুগোপালও প্রশ্ন তুলেছেন, “পহেলগামে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এমন ভয়াবহ হামলা সম্ভব হলো?” তিনি দাবি করেছেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতি বিষয়ে তদন্ত করা উচিত।”

এই ঘটনায় পুরো ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন এক দ্বন্দ্বের সূচনা হতে পারে, এবং এখন সবাই জানার জন্য অপেক্ষা করছে—এই দুটি লাল ফাইলে আসলে কী রয়েছে, এবং এর পেছনে কি কিছু বড় পরিকল্পনা লুকিয়ে আছে?

এখন পর্যন্ত কিছু নিশ্চিত না হলেও, ভারতীয় রাজনীতিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে যাচ্ছে—একটি মুহূর্ত যা দেশবাসী এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দীর্ঘদিন আলোচিত থাকবে।

আব্দুর রহিম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ