ঢাকা, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

শরিকদের ২ ভুলে কোরবানি কবুল হবে না: জানুন কেন

২০২৫ এপ্রিল ২৫ ১৫:৫৭:২২
শরিকদের ২ ভুলে কোরবানি কবুল হবে না: জানুন কেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শরিকদের ২ ভুলে কোরবানী কবুল হবে না আল্লাহর কাছে

কোরবানি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই পবিত্র আমলটি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পালন করা হয়, তবে কিছু বিশেষ শর্ত পূর্ণ না হলে কোরবানি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে, যখন কোরবানি একাধিক ব্যক্তির অংশগ্রহণে হয়—যার মধ্যে শরিকরা অংশ নেন—তাদের শর্তগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে দুটো প্রধান কারণ তুলে ধরা হলো, যার ফলে শরিকদের কোরবানি কবুল হতে পারে না।

১. হারাম টাকার উৎস

কোরবানি হওয়ার জন্য শরিকদের অর্থের উৎস অবশ্যই হালাল হতে হবে। ইসলামে হারাম উপার্জন দ্বারা কোনো কাজ করা উচিত নয়, বিশেষ করে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। যদি শরিকদের মধ্যে কোনো একজনের উপার্জন হারাম হয়, তাহলে তার অংশীদারদের কোরবানি অশুদ্ধ হয়ে যাবে। এর অর্থ, অন্য শরিকরা হয়তো আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি করার চেষ্টা করলেও, কোনো এক শরিকের হারাম উপার্জন পুরো কোরবানি কার্যকর হতে দেয় না।

আরও পড়ুন:

কোরবানির সময় সবচেয়ে বেশি হওয়া ১০টি ভুল, যা ইবাদত নষ্ট করে দেয়

হাদিসে এসেছে, "আল্লাহ তাআলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না।" (মুসলিম ১০১৫)। এ থেকে বোঝা যায়, কোরবানি শুদ্ধ হওয়ার জন্য শুধুমাত্র শরিকদের নিয়তই নয়, তাদের উপার্জনও হালাল হতে হবে।

এক্ষেত্রে, কোনো শরিক যদি জানতেও না জানে যে তার টাকার উৎস হারাম, তবুও তার কোরবানি শুদ্ধ হবে না। কোরবানির পুরো প্রক্রিয়ায় সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।

২. নিয়ত অশুদ্ধ হওয়া

কোরবানি করতে হলে, শরিকদের সবার উদ্দেশ্য হতে হবে একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি। এক্ষেত্রে যদি কোনো শরিকের নিয়ত আল্লাহর জন্য না হয়ে থাকে, তাহলে কোরবানি সহিহ হবে না। যেমন, যদি কেউ লোক দেখানোর জন্য বা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের জন্য কোরবানি করার ইচ্ছা পোষণ করেন, তাহলে তার কোরবানি কবুল হবে না। শরিকদের মধ্যে একজনের নিয়তও যদি ভ্রান্ত হয়, তবে পুরো কোরবানি বাতিল হয়ে যাবে।

ফিকাহ বইয়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যদি কোনো শরিক আল্লাহর জন্য কোরবানি না করে, তবে সেক্ষেত্রে অন্য শরিকদের কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮)

অতএব, কোরবানি করার আগে শরিকদের সবার নিয়ত খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাদের একনিষ্ঠ উদ্দেশ্য এবং ত্যাগের মানসিকতা, যা একমাত্র আল্লাহর জন্য হতে হবে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

কোরবানি শুধুমাত্র পশু নিধন নয়, এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য একটি পবিত্র আমল। শরিকদের অংশগ্রহণে কোরবানি অবশ্যই হালাল উপার্জন এবং একনিষ্ঠ নিয়তের ভিত্তিতে হতে হবে। অন্যথায়, তাদের কোরবানি কবুল হবে না এবং সেই সাথে পুরো কোরবানি বাতিল হয়ে যাবে। তাই, কোরবানি করার পূর্বে শরিকদের সতর্কতার সাথে নিয়ত এবং অর্থের উৎস যাচাই করা আবশ্যক।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

বাংলাদেশকে ভারত কীভাবে ফাঁদে ফেলে রেখেছে?

বাংলাদেশকে ভারত কীভাবে ফাঁদে ফেলে রেখেছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: ভারতের প্রভাব ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে একটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার... বিস্তারিত