ঢাকা, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

কোরবানির সময় সবচেয়ে বেশি হওয়া ১০টি ভুল, যা ইবাদত নষ্ট করে দেয়

২০২৫ এপ্রিল ২৫ ১৫:৪৪:১৪
কোরবানির সময় সবচেয়ে বেশি হওয়া ১০টি ভুল, যা ইবাদত নষ্ট করে দেয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানি শুধু মাংস উৎসব নয়—এটি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিবেদিত একটি পবিত্র ইবাদত। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেকেই কিছু সাধারণ ভুলের কারণে তাদের কোরবানি কবুল হওয়ার সুযোগ নষ্ট করে ফেলেন। নিচে এমন ১০টি মারাত্মক ভুল তুলে ধরা হলো, যেগুলো থেকে এবার সাবধান থাকা জরুরি।

১. নিয়ত বিশুদ্ধ না হওয়া

কোরবানি হতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। লোক দেখানো, বেশি মাংস পাওয়া, বা সামাজিক মর্যাদার জন্য কোরবানি করলে তা কবুল হয় না। (সূরা হজ: ৩৭)

২. হারাম টাকায় কোরবানি করা

যে পশু হারাম উপার্জনে কেনা হয়, তা দ্বারা কোরবানি কবুল হয় না। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: “আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র জিনিস ছাড়া গ্রহণ করেন না।” (মুসলিম: ১০১৫)

৩. শরিয়ত নির্ধারিত বয়সের কম পশু কোরবানি

উট: ৫ বছর, গরু-মহিষ: ২ বছর, ছাগল: ১ বছর, ভেড়া-দুম্বা: ১ বছর (অভাবের সময় ৬ মাস হলে চলবে)। এর কম বয়স হলে কোরবানি সহিহ হবে না। (মুসলিম: ১৯৬৩)

৪. দৃষ্টিগোচর ত্রুটিযুক্ত পশু কোরবানি

অন্ধ, ল্যাংড়া, অসুস্থ, বা অঙ্গহীন পশু কোরবানির উপযুক্ত নয়। হাদিসে এমন পশুকে কোরবানিতে নিষেধ করা হয়েছে। (ইবনে মাজাহ: ৩১৪৪)

৫. জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ না বলা

ইচ্ছাকৃতভাবে ‘বিসমিল্লাহ’ না বললে কোরবানি সহিহ হবে না। ভুলে না বললে সহিহ হবে। (সূরা আনআম: ১২১)

৬. গলার অন্তত তিনটি রগ না কাটা

কণ্ঠনালি, খাদ্যনালি ও দুই পাশের মোটা রগ—এই চারটির মধ্যে কমপক্ষে তিনটি কাটা আবশ্যক। না হলে কোরবানি সহিহ হবে না। (হেদায়া: ৪/৪৩৭)

৭. শরিকের সংখ্যা সাতের বেশি হওয়া

উট বা গরুতে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবেন। সাতের অধিক হলে কারো কোরবানি সহিহ হবে না। মেষ-ছাগলে ভাগাভাগি বৈধ নয়। (মুসলিম: ১৩১৮)

৮. শরিকদের কারো টাকার উৎস হারাম হওয়া

যদি কোনো শরিকের অর্থ হারাম হয়, এবং অন্যরা তা জানেন—তাহলে সকলের কোরবানি বাতিল হবে। অজানা থাকলে শুধু তার কোরবানি বাতিল হবে। (সূরা বাকারা: ৪২)

৯. শরিকের নিয়ত অশুদ্ধ হওয়া

শুধু একজন শরিকের নিয়ত যদি লোক দেখানো বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয়, তাহলে সব শরিকের কোরবানি বাতিল হবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৮)

১০. ভাগ বণ্টনে অনিয়ম

সবার অংশ সমান হতে হবে। কারো দেড় ভাগ, কারো আধা ভাগ হলে কোরবানি সহিহ হবে না। অনুমান নির্ভর ভাগও গ্রহণযোগ্য নয়। (আদ্দুররুল মুখতার: ৬/৩১৭)

কোরবানি যেমন ত্যাগের প্রতীক, তেমনই এটি একটি নিখুঁত আমল। একটু অসতর্কতায় পুরো ইবাদত বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই এসব ভুল থেকে নিজে সাবধান থাকুন এবং অন্যকেও সতর্ক করুন।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

বাংলাদেশকে ভারত কীভাবে ফাঁদে ফেলে রেখেছে?

বাংলাদেশকে ভারত কীভাবে ফাঁদে ফেলে রেখেছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: ভারতের প্রভাব ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে একটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার... বিস্তারিত