ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২৪ ১৯:৫৬:৫১
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএসইসি নতুন সিদ্ধান্তে ২০২৫ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করেছে

শেয়ারবাজারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ব্রোকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের জন্য গ্রাহকের মার্জিন ঋণ হিসাবের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত, যা শেয়ারবাজারের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) ৯৫৩তম কমিশন সভায় এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার এবং পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের জন্য এই সুযোগটি দেওয়া হচ্ছে, যারা এখনও তাদের গ্রাহকদের মার্জিন অ্যাকাউন্টে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারেননি।

কেন এই পদক্ষেপ?

বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে অনেক স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকারদের গ্রাহকদের মার্জিন অ্যাকাউন্টে সৃষ্ট নেগেটিভ ইক্যুইটি বা আনরিয়েলাইজড লস রয়েছে, যা তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএসইসি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এই চ্যালেঞ্জকে সহজ করতে এবং শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

কী করতে হবে?

যেসব স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকারদের গ্রাহকদের মার্জিন অ্যাকাউন্টে নেগেটিভ ইক্যুইটি রয়েছে, তাদের জন্য একটি স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এই পরিকল্পনাটি তাদের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বিএসইসি বরাবর জমা দিতে হবে। এই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণযোগ্য হলে, তারা ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারবে।

এই সিদ্ধান্তের প্রভাব

বিএমবিএ (বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন) এবং ডিবিএ (ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন) এর দীর্ঘদিনের দাবির পর বিএসইসি এই পদক্ষেপটি নিয়েছে। এই সময়সীমা বৃদ্ধির মাধ্যমে শেয়ারবাজারের খেলোয়াড়দের জন্য একটা বড় স্বস্তি আসবে এবং বাজারের স্থিতিশীলতা বাড়বে।

এটা শুধু ব্যাংকার এবং ব্রোকারদের জন্য নয়, বরং বাজারের পুরো ইকোসিস্টেমের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এটি শেয়ারবাজারে আরও আস্থার জায়গা তৈরি করবে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলবে।

সুতরাং, শেয়ারবাজারের স্বাস্থ্যের জন্য এই পদক্ষেপটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা বাজারের আরও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

রাজিব/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ