ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

আবার আমরা ক্ষমতা পাবো’: সাবেক মন্ত্রীদের গালিগালাজ ও হুমকি

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২২ ১১:৫৫:১১
আবার আমরা ক্ষমতা পাবো’: সাবেক মন্ত্রীদের গালিগালাজ ও হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাবেক মন্ত্রীদের গালাগাল ও ক্ষমতায় ফেরার ঘোষণা – ট্রাইবুনালে উত্তেজনা সৃষ্টি।

রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, যার কেন্দ্রবিন্দু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রবিবার আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও সরকার দলীয় নেতারা, যাদের উত্তেজিত আচরণ এবং পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার একটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

সাবেক মন্ত্রীর রাগ: ট্রাইব্যুনালে উত্তেজনা

শাহজাহান খান, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী, রবিবার ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। তিনি বারবার মাথা থেকে হেলমেট ফেলে দেন এবং রাগের ভেতর কিছু বলতে থাকেন। এই ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একই সময়ে হাসানুল হক ইনু সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন-কে দেখে মন্তব্য করেন, "দিন আমাদেরও আসবে!"

এর কিছুক্ষণ পরেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে জিয়াউল হাসান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও “হাসিনার কসাই” হিসেবে পরিচিত, প্রকাশ্যে পুলিশ সদস্যদের হুমকি দেন। এই ঘটনার পরপরই একটি আরেকটি ভিডিওতে কামরুল ইসলাম, সাবেক আইনমন্ত্রী, পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করতে দেখা যায়।

পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: গুগল নিউজের জন্য তাজুল ইসলামের মন্তব্য

তাজুল ইসলাম, চিফ প্রসিকিউটর, সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "এমন দুর্ব্যবহার কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে এভাবে কথা বলা খুবই ন্যক্কারজনক।" এটি যখন একটি জাতীয় বিষয় হয়ে উঠছে, তখন প্রশ্ন উঠছে—এমন আচরণের উৎস কী? এর পিছনে কি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক জটিলতা এবং ভারতে কিছু চক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে?

কারাগারে বিশেষ সুবিধা: কারা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

এদিকে, কারাগারের ভেতরে সাবেক মন্ত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, ও শাহজাহান খান-এর নামে অভিযোগ রয়েছে যে, তাদের জন্য কারা কর্তৃপক্ষ বাইরে থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহ করছে এবং নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, কারাগার ভেঙে আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষাতের সুযোগও সৃষ্টি করা হচ্ছে।

প্রশাসনের ভূমিকা: কন্ট্রোল বা উপেক্ষা?

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নিত, তাহলে হয়তো এসব ঘটনা ঘটতো না। অনেকের মতে, এ ধরনের উদ্ধত আচরণের পিছনে সরকারী এবং প্রশাসনিক সহায়তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে। এই সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রতিক্রিয়া: জনগণের ক্ষোভ

এতে সাধারণ জনগণ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কেউ মনে করেন, প্রশাসন যদি যথাযথ ব্যবস্থা নিত, তাহলে এই ধরনের উত্তেজনা ও উদ্ধত আচরণ থেকে বিরত থাকা সম্ভব হতো। অন্যদিকে, কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলেও, জনগণ এখনই নিশ্চিত নয় যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা।

আব্দুর রহিম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ