ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

বিএসইসি গঠন করল তদন্ত কমিটি: ইন্দো-বাংলা ফার্মার কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২০ ১২:০৫:৫১
বিএসইসি গঠন করল তদন্ত কমিটি: ইন্দো-বাংলা ফার্মার কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের আর্থিক কার্যক্রম নিয়ে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে। এই তদন্তে কোম্পানির আইপিও থেকে প্রাপ্ত অর্থ, আর্থিক বিবরণী এবং তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিশ্লেষণ করা হবে।

তদন্ত কমিটি গঠন

বিএসইসি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে, যার নেতৃত্বে আছেন অতিরিক্ত পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন। অন্যান্য সদস্যরা হলেন বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রুমান হোসেন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সিনিয়র ম্যানেজার স্নেহাশিষ চক্রবর্তী। তাদের উদ্দেশ্য, শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির পারফরম্যান্স এবং আর্থিক কার্যক্রমের সঠিকতা খতিয়ে দেখা।

কী নিয়ে চলছে তদন্ত?

তদন্তের মাধ্যমে কোম্পানির আইপিও থেকে আয় করা অর্থের ব্যবহার, পরিশোধিত মূলধন, বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ, স্থায়ী সম্পদ এবং আর্থিক বিবরণী যাচাই করা হবে। এছাড়া, কোম্পানির সামগ্রিক ব্যবসায়িক অবস্থা এবং চলমান কার্যক্রম মূল্যায়ন করা হবে। বিশেষ করে, ডিভিডেন্ড বিতরণ সম্পর্কিত বিষয়গুলোও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হবে।

সমস্যা এবং সংকটের মুখে কোম্পানি

কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডলার সংকটের কারণে কাঁচামাল আমদানিতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তারা। গত বছর মাত্র দু'বার ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পেরেছে এবং স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে আংশিকভাবে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এর ফলে তাদের কার্যক্রম কিছুটা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং রাজস্বও হ্রাস পেয়েছে।

তবে, ব্যাংকগুলো আশাবাদী যে, শিগগিরই ডলার সংকট সমাধান হবে এবং কোম্পানিটি আরো সহজে ঋণপত্র খুলতে পারবে। এই সমস্যার সমাধান হলে কোম্পানির কার্যক্রমে নতুন প্রাণ ফিরে আসতে পারে।

শেয়ারবাজারে কোম্পানির অবস্থান

২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে কোম্পানির শেয়ারবাজারে পারফরম্যান্স ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হয়েছে। শেয়ারহোল্ডারদের জন্য গত কয়েক বছরে যে ডিভিডেন্ড দেওয়া হয়েছে, তা ছিল সীমিত। ২০১৯ সালে ২% ক্যাশ এবং ৯% বোনাস ডিভিডেন্ড দেওয়ার পর থেকে কোম্পানি ২০২৩ সালে কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি।

এছাড়া, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮ পয়সা, যা গত বছরের একই সময় ছিল ৫ পয়সা। বর্তমান সময়ে কোম্পানির শেয়ার ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিএসইসি’র পরবর্তী পদক্ষেপ

বিএসইসি তদন্তের পর, যদি কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে কমিশন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে, কোম্পানির কর্মকর্তারা আশা করছেন যে, ডলার সংকট সমাধান হলে এবং কাঁচামালের সরবরাহ সচল হলে, শেয়ারবাজারে কোম্পানির কার্যক্রম পুনরায় উন্নতির দিকে যাবে।

গুগল বা অন্যান্য অনুসন্ধান ইঞ্জিনে যখন পাঠক আপনার নিউজটি পড়তে আসবে, তখন তারা এমন কিছু পাবে যা তাদের জন্য তথ্যপূর্ণ এবং মূল্যবান। ইন্দো-বাংলা ফার্মার ভবিষ্যত কার্যক্রম এবং শেয়ারবাজারে তার অবস্থান এখন সবার নজর কেড়ে নিয়েছে। বিএসইসি’র তদন্ত যদি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তবে এর ফলাফল শেয়ারবাজারের স্বচ্ছতা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো খবর নিয়ে আসতে পারে।

রাজিব/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ