আল্লাহর নির্দেশনা ভুলে যাওয়ার ভয়াবহ পরিণতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানব জীবনের মূল উদ্দেশ্য কী? কোনো মুসলমানের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর একটাই—মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। তিনি মানুষ ও জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, "আমি মানুষ ও জিন জাতিকে আমারই উপাসনার জন্য সৃষ্টি করেছি" (সুরা: জারিয়াত, আয়াত: ৫৬)।
এই আয়াতই বোঝায়, জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হওয়া উচিত আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। ইবাদত শুধু নামাজ, রোজা, হজ বা জাকাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আল্লাহর বিধান মেনে চলা এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তাঁর নিয়ামতের স্বীকৃতি দেওয়াও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
যখন মানুষ এই লক্ষ্য ভুলে যায়
মানুষ যখন আল্লাহর অগাধ নিয়ামত ভোগ করেও তাঁকে ভুলে যায়, তাঁর আদেশ-নিষেধের তোয়াক্কা না করে নাফরমানির পথে পা বাড়ায়, তখনই নেমে আসে ব্যর্থতার করাল ছায়া। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো ব্যক্তি দুনিয়ার সব কিছু পেয়েও চরম অস্থিরতায় ভোগে, মানসিকভাবে বন্দি হয়ে পড়ে। এর কারণ, সে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে ভুলে গেছে।
ইতিহাসে এর বাস্তব দৃষ্টান্ত—বনি ইসরাঈল
এমন একটি দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় বনি ইসরাঈলের জীবনে। মুসা (আ.)-এর নেতৃত্বে তারা ফেরাউন ও তার বাহিনীর জুলুম থেকে রক্ষা পায়, সমুদ্র অতিক্রম করে মুক্তি লাভ করে। আল্লাহ তাদের পক্ষেই ছিলেন, কিন্তু এরপরও তাঁরা তাঁর নির্দেশনা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়।
আল্লাহ তাঁদেরকে পবিত্র ভূমি শামের (বর্তমান ফিলিস্তিন ও সিরিয়ার কিছু অংশ) দিকে অগ্রসর হতে বলেছিলেন এবং বিজয়ের অগ্রিম সুসংবাদও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা আল্লাহর ওপর ভরসা না করে বলেছিল, "হে মুসা! তারা যতক্ষণ পর্যন্ত সেখানে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সেখানে প্রবেশ করব না। কাজেই তুমি এবং তোমার রব গিয়ে যুদ্ধ করো, আমরা এখানেই বসে থাকব।" (সুরা: মায়িদা, আয়াত: ২৪)
অবাধ্যতার পরিণতি—৪০ বছরের ভবঘুরে জীবন
আল্লাহর এই নির্দেশনা অমান্য করার কারণে তাদের ওপর নেমে আসে কঠিন শাস্তি। তারা ৪০ বছর ধরে তীহ নামক এক মরু অঞ্চলে ঘুরে বেড়াতে থাকে, কোনো স্থির গন্তব্য ছাড়া। বাহ্যিকভাবে তারা মুক্ত ছিল, কিন্তু বাস্তবতা ছিল এক বন্দিত্বের জীবন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন,"তাদের শাস্তি ছিল যে তারা ৪০ বছর ধরে দিন-রাত তীহ মরুভূমিতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াবে" (সুরা: মায়িদা, আয়াত: ২৬)
দুনিয়াও হারায়, পরকালও পায় না
যে কেউ আল্লাহর নির্দেশনা ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র দুনিয়ার মোহে আচ্ছন্ন হয়, সে এক সময় দুনিয়ার শান্তিও হারায় এবং পরকাল তো আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
একটি হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ বলেন,
"হে আদম সন্তান! তুমি আমার ইবাদতের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করো, আমি তোমার অন্তর ঐশ্বর্যে পূর্ণ করে দেব এবং তোমার অভাব দূর করে দেব। তুমি তা না করলে আমি তোমার দুই হাত কর্মব্যস্ততায় পরিপূর্ণ করে দেব এবং তোমার অভাব-অনটন দূর করব না।" (তিরমিজি, হাদিস: ২৪৬৬)
এই জীবন অস্থায়ী। এখানে যা কিছু অর্জন করবো, তার প্রকৃত মূল্য নির্ধারিত হবে পরকালে। তাই জীবনের সব সিদ্ধান্তে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দেওয়া, তাঁর ওপর ভরসা করা এবং অবিচলভাবে ইবাদতের পথে থাকা—এটাই একজন মুমিনের প্রকৃত সাফল্যের চাবিকাঠি।
মোঃ সাবরিনা/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল বিএসইসি
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- সিলেটে ক্রিকেট মাঠে শোকের ছায়া: বিসিবি কর্মকর্তার অকাল মৃত্যু
- সোনার বাজার: বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় খবর: ৩০ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- এক ছক্কার ভুলেই বিশ্বকাপ হাতছাড়া, বাংলাদেশ লিখল ইতিহাস
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২১ এপ্রিল ২০২৫)
- বিশ্বকাপের টিকিট যাবে কার হাতে, বাংলাদেশ না ওয়েস্ট ইন্ডিজ—জানুন সমীকরণ
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বিনিয়োগকারীদের জন্য মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১০% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- সিলেটে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে: উত্তেজনা চলছেই
- শ্রীলঙ্কার ‘না’ বলে দেওয়া, ভারতের সেতু স্বপ্ন স্থগিত
- অসম্ভবকে সম্ভব করে বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা নিশ্চিত করলো যারা