ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তঃজেলা বদলির আবেদন শুরু

শিক্ষা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১৭ ১৯:০০:১৮
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তঃজেলা বদলির আবেদন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জন্য আন্তঃজেলা বদলির (একই বিভাগের মধ্যে) অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে শিক্ষকরা এই আবেদন করতে পারছেন, যা চলবে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত।

বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যাচাই-বাছাই ও কার্যক্রমের সময়সূচি

চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২১ থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে সহকারী উপজেলা বা থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাররা আবেদন যাচাই সম্পন্ন করবেন। এরপর ২৪ ও ২৫ এপ্রিল উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ২৬ ও ২৭ এপ্রিল আবেদন যাচাইয়ে অংশ নেবেন। ২৮ এপ্রিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিস্টেম থেকে মনোনয়ন সম্পন্ন করা হবে। এরপর ২৯ ও ৩০ এপ্রিল বিভাগীয় উপ-পরিচালক বদলি কার্যক্রমের চূড়ান্ত অংশ সম্পন্ন করবেন।

পছন্দের বিদ্যালয় নির্বাচন ও শর্ত

আদেশে আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারী শিক্ষক সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন। কারও যদি একাধিক পছন্দ না থাকে, তাহলে একটি বিদ্যালয় বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকছে।

তবে একবার বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিলের জন্য কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে আদেশে স্পষ্ট করা হয়েছে।

যাচাই হবে অনলাইন বদলি নির্দেশিকা অনুযায়ী

বদলি আবেদন যাচাইয়ে নিয়োজিত কর্মকর্তারা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা, ২০২৩’ অনুযায়ী আবেদন ও সংযুক্ত কাগজপত্র সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করবেন। যাচাই শেষে প্রেরণের পর সেই আবেদন পুনঃবিবেচনার সুযোগ থাকবে না।

কিছু উপজেলা বদলি কার্যক্রমের আওতামুক্ত

এর আগে ২১৬টি উপজেলা বা থানায় ১০ শতাংশের বেশি শিক্ষক অন্য উপজেলা থেকে বদলি হয়েছেন। তাই এসব উপজেলা বা থানা এবারের আন্তঃজেলা বদলি কার্যক্রমের আওতার বাইরে থাকবে। বাকি ২৭১টি উপজেলা বা থানায় বদলি কার্যক্রম চলবে।

এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষকরা নিজ বিভাগের মধ্যে নিজ পছন্দ অনুযায়ী অন্য জেলায় বদলি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, যা শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উভয়ের জন্যই উপকার বয়ে আনবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মোঃ রাজিব/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ