ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

স্ট্রেস কমাতে চাইলে মেনে চলুন বিশেষজ্ঞের এই ৫টি সহজ পরামর্শ

লাইফস্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১৫ ১০:২৫:০৬
স্ট্রেস কমাতে চাইলে মেনে চলুন বিশেষজ্ঞের এই ৫টি সহজ পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০ বছরের অভিজ্ঞ মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ জানালেন—জীবনকে স্ট্রেসমুক্ত ও আনন্দময় রাখতে কী করবেন আর কী থেকে দূরে থাকবেন।

মানসিক চাপ বা স্ট্রেস এখন ঘরে ঘরে এক সাধারণ সমস্যা। চাকরি, সংসার, সামাজিক চাপ—সবকিছুর ভারে অনেকেই মানসিকভাবে ক্লান্ত। এমনই বাস্তবতা সামনে এনে 'হেলথ ইনসাইট'-এ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কার্যকর পরামর্শ দিয়েছেন কলকাতা ও হুগলি জেলার জনপ্রিয় মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুব্রত সাহা।

তিনি বলেন,

“প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আমার কাছে আসেন এই অভিযোগ নিয়ে—‘ডাক্তারবাবু, আমি খুব স্ট্রেসড। কীভাবে রিলিফ পাব?’ সঠিক অভ্যাস আর সামান্য সচেতনতাই কিন্তু আপনাকে এনে দিতে পারে মানসিক প্রশান্তি।”

স্ট্রেস কমাতে ডা. সাহার ৫টি সহজ অভ্যাস:

১. পরিবারের জন্য নির্দিষ্ট সময় রাখুন

দিনের ব্যস্ততা যতই থাকুক, অন্তত ২০-৩০ মিনিট শুধুমাত্র পরিবারের জন্য রাখুন।এই সময়টুকুতে মোবাইল বা কাজ ভুলে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান—তাতে মানসিক চাপ অনেকটাই হালকা হয়ে যায়।

২. আপনার শখ বা পোষ্যকে সময় দিন

গান শোনা, বই পড়া, আঁকা, নাচ, কিংবা পোষা প্রাণীর সঙ্গে খেলা—এমন কাজ প্রতিদিনের স্ট্রেস থেকে আপনাকে বের করে আনবে।নিজের শখে সময় দেওয়া মানে নিজের মনের যত্ন নেওয়া।

৩. প্রতিদিন অন্তত ৬-৯ ঘণ্টা ঘুমান

ঘুম কম হলে মন বিষণ্ণ ও অস্থির হয়। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমকে জীবনের অংশ বানান।

৪. সকাল বা রাতে নিয়মিত হাঁটুন

সময় না থাকলে সকালে না হোক, রাতে ডিনারের পর অন্তত ২০ মিনিট হাঁটুন। এটি শরীরকে তো ঠিক রাখেই, মনকেও শান্ত রাখে।

৫. খাওয়ার ধরন বদলান

ডা. সাহার মতে—

সকালে হেভি ব্রেকফাস্ট,

দুপুরে হালকা লাঞ্চ,

এবং রাতে সবচেয়ে লাইট খাবার খেতে হবে।রাত ৮টার মধ্যে ডিনার শেষ করাই শ্রেয়।

তবুও স্ট্রেস যাচ্ছে না? তখন কী করবেন?

সব কিছু মেনে চলেও যদি মনে হয়, আপনার স্ট্রেস কমছে না, তাহলে দেরি না করে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

চিকিৎসার পাশাপাশি কাউন্সেলিং প্রয়োজনে হতে পারে আরও কার্যকর।

স্ট্রেস এখন জীবনের অংশ হলেও, তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা কিন্তু একেবারেই সম্ভব।ডা. সুব্রত সাহার মতে—

“সচেতন অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই আমরা গড়তে পারি এক সুন্দর, রিল্যাক্সড সমাজ।”

আপনার জন্য ছোট্ট রিমাইন্ডার:

আজ থেকেই শুরু করুন ছোট্ট কিছু অভ্যাস। পরিবারকে সময় দিন, নিজের মনের কথা শুনুন, আর প্রয়োজনে সাহস করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ