ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

গাজার মতো হামলার হুমকি বাংলাদেশকে! মুখ খুললো ভারতীয় মিডিয়া

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১৪ ২৩:০২:৪০
গাজার মতো হামলার হুমকি বাংলাদেশকে! মুখ খুললো ভারতীয় মিডিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ এশিয়ায় ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার পথে এগিয়ে চলেছে দেশটি। কিন্তু এই অগ্রযাত্রা ভারতের জন্য যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে! ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেই শান্ত হয়নি ভারত। এবার পশ্চিমবঙ্গের একাধিক মিডিয়ায় প্রকাশ্যে দেওয়া হলো ভয়ংকর হুমকি—“বাংলাদেশকে গাজার মতো হামলার শিকার হতে হতে পারে!”

ভারতীয় মিডিয়ার প্রকাশ্য হুমকি

পশ্চিমবঙ্গের কিছু প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম বলছে,

“যেমন ইসরাইল হামাসের উসকানিতে গাজায় আঘাত হানে, তেমনই ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত এলে ভারতও চুপ করে বসে থাকবে না। এবং এর মূল্য দিতে হবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে!”

এমন বক্তব্যে বাংলাদেশে সরাসরি সামরিক হামলার হুমকি প্রকাশ পেয়েছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ‘উসকানি’ দিলে ভারতের মিগ যুদ্ধবিমান, রাফাল স্কোয়াড্রন, এস-৪০০ সিস্টেম এবং টি-৯০ ট্যাংক প্রস্তুত রয়েছে।

কী অপরাধ করেছে বাংলাদেশ?

ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন একটি অর্থনৈতিক জোট গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে, সেটাই ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। এই জোটে ভারতের সেভেন সিস্টারস, নেপাল ও ভুটানকে যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে ভারতের প্রভাব হারানোর আশঙ্কায় চটেছে দিল্লি।

ষড়যন্ত্র নাকি নিরাপত্তা?

ভারতীয় মিডিয়ার অভিযোগ—বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা নাকি স্পেনে তুরস্ক ও পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। এসবের মাধ্যমে ভারত দাবি করছে, বাংলাদেশ একটি ‘প্যান-ইসলামিক জোট’ গড়ার চেষ্টা করছে, যা নাকি তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

কিন্তু বাস্তবে এই অভিযোগের পেছনে কোনও প্রমাণ মেলে না। বরং বিশ্লেষকরা বলছেন, “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ঠেকাতেই এসব অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে।”

যুদ্ধ নয়, উন্নয়নের দিকেই নজর বাংলাদেশের

ড. ইউনুস ও তার উপদেষ্টামণ্ডলী বারবার বলে আসছেন, এই উদ্যোগ ভারতের বিরুদ্ধে নয়, বরং সমন্বিত উন্নয়নের জন্য। তবুও ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে বাংলাদেশের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

এতে ব্যর্থ হয়ে, এখন গাজার মতো হামলার হুমকি ছুড়ে দিচ্ছে ভারতীয় মিডিয়া!

বাংলাদেশ কী প্রস্তুত?

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম, বিশ্লেষক এবং সাধারণ মানুষ সোচ্চার—

“১৮ কোটি বাংলাদেশি একসঙ্গে দাঁড়াতে জানে। দরকার হলে জীবন দেব, তবু দাদাগিরি মানব না!”

বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়গুলো এখনও মন্তব্য করেনি, তবে কূটনৈতিকভাবে এর পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে আভাস মিলেছে।

একটি শান্তিপূর্ণ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেখে যদি প্রতিবেশী দেশ ভয় পায়, তা-ই প্রমাণ করে—বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা সঠিক পথে। ভারত যদি গাজার মতো হুমকি দিয়েই বাংলাদেশের স্বপ্ন থামাতে চায়, তবে তা হবে দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই ভয়ংকর বার্তা।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ