ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

MD: Razib Ali

Senior Reporter

ধর্মীয় ভবিষ্যৎবাণী: দুই বছরের মধ্যে ধ্বংস হতে পারে ইসরাইল

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১৪ ১২:১০:৪৮
ধর্মীয় ভবিষ্যৎবাণী: দুই বছরের মধ্যে ধ্বংস হতে পারে ইসরাইল

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজায় ইসরাইল বাহিনীর নির্বিচার হামলা এখনো অব্যাহত, আর প্রতিদিন বেড়ে চলেছে মানবিক সংকট। রাফাত থেকে গাজা সিটি পর্যন্ত কোথাও ফিলিস্তিনিরা নিরাপদ নয়। লাশের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে, আর ফিলিস্তিনিদের জন্য অপেক্ষা করছে অনাহার ও দুর্ভিক্ষ। রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহের জন্য কোনো স্থানও অবশিষ্ট নেই, এমনকি কবর দেওয়ার জন্যও জায়গা নেই।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজাকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করার জন্য মরিয়া হয়ে কাজ করছেন। তার পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকা এবং কিছু আরব দেশ ইসরাইলকে সমর্থন জানালেও, গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও অবর্ণনীয় হয়ে উঠছে।

এদিকে, ইসরাইলের ভবিষ্যত নিয়েও একটি ভয়ঙ্কর প্রশ্ন উত্থিত হয়েছে। ইহুদিদের ধর্মীয় শাস্ত্র, তালমুদে একটি ভবিষ্যৎবাণী রয়েছে যা ইসরাইলের ধ্বংসের ইঙ্গিত দেয়। তালমুদে বলা হয়েছে, "কোনো ইহুদি রাষ্ট্র ৮০ বছরের বেশি টিকবে না, এবং তা ভেঙে যাবে।" এই ভবিষ্যৎবাণীকে কেন্দ্র করে বর্তমানে ইসরাইলের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ইসরাইলের ইতিহাস দেখলে, আমরা দেখতে পাই যে কিং ডেভিড এবং হাসমোনিয়ান রাজত্বের মতো বড় ইহুদি রাজ্যগুলোও ৮০ বছর পর ভেঙে গিয়েছিল। বর্তমানে, ২০২৭ সালে ইসরাইল ৮০ বছরে পা রাখবে, আর সেই সময়েই হয়তো এই রাষ্ট্রের পতন হতে পারে।

ইসরাইলের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ঘোরতর আতঙ্কে গাজায় এই অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে রাষ্ট্রটির পতন ঠেকানো যায়। তবে, কিছু ইহুদি নাগরিক তাদের ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী এই ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন। তারা ভাবছেন, যদি ইসরাইলের পতন ঘটে, তবে তারা কোথায় নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারেন।

এটি একটি বড় প্রশ্ন: ইসরাইলের এই ভয়ঙ্কর জুলুম কি এর পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? যদি তালমুদের ভবিষ্যৎবাণী সত্যি হয়, তাহলে হয়তো ইসরাইলের সময় শেষ হয়ে আসছে। এমনকি আমেরিকা বা অন্য কোনো শক্তি যদি ইসরাইলকে রক্ষা করতে না পারে, তাহলে কী হবে ইসরাইলের ভবিষ্যত?

গাজার সংকট শুধু মানবিক বিপর্যয় নয়, এটি বিশ্বরাজনীতিতেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। ইসরাইলের ভবিষ্যত এবং গাজার পরিস্থিতি নিয়ে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা বিশ্বের সামনে একটি বড় প্রশ্ন রেখে যাচ্ছে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ