ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

পিএসএলে মুলতান সুলতানসের ছক্কা-উইকেটে জেগে উঠছে ফিলিস্তিনের স্বপ্ন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১৩ ১৫:৫৯:২৯
পিএসএলে মুলতান সুলতানসের ছক্কা-উইকেটে জেগে উঠছে ফিলিস্তিনের স্বপ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছক্কার শব্দে যখন স্টেডিয়াম কাঁপে, তখন সেই শব্দই যদি হয়ে ওঠে যুদ্ধাহত শিশুর হাসির কারণ—তখন তা শুধু খেলা নয়, হয়ে ওঠে মানবতার এক মহাকাব্য। পিএসএলের সবুজ মাঠে এমনই এক অসাধারণ গল্প লিখছে মুলতান সুলতানস।

এই মৌসুমে দলটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের প্রতিটি ছক্কা ও প্রতিটি উইকেট এবার হয়ে উঠবে ফিলিস্তিনের শিশুদের জন্য আশার আলো। ব্যাটে ছক্কা মানে এক লাখ রুপি অনুদান, বোলারের উইকেট মানেই একই পরিমাণ ভালোবাসা—যা পৌঁছে যাবে গাজার ক্ষতবিক্ষত শিশুদের কাছে।

মুলতান সুলতানসের মালিক আলী খান তারিন জানান, “আমরা শুধু জয়ের জন্য খেলি না, মানুষ হওয়ার দৃষ্টান্ত গড়তেও খেলি। ফিলিস্তিনের শিশুদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব মনে করি।” বোলাররা নিজেরাই অনুরোধ করেছেন—ছক্কার সঙ্গে উইকেটও যেন এই ভালোবাসার গণনায় যুক্ত হয়।

এই সংকল্পের প্রথম সাক্ষী ছিল করাচি কিংসের বিপক্ষে ম্যাচটি। রিজওয়ানের ব্যাট থেকে বেরোনো প্রতিটি ছক্কা যেন হয়ে উঠেছিল গাজার আকাশে এক টুকরো রোদ্দুর। তার ৫টি ছক্কা, ৯টি চার এবং ১০৫ রানের ইনিংস মাঠে যেমন বাজিমাত করেছে, তেমনি গাজায় পৌঁছে দিয়েছে ১৫ লাখ রুপির অনুদান।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজার শিশুরা খেলতে পারে না, হাসতে পারে না, স্কুলে যেতে পারে না। এমন বাস্তবতায় পিএসএলের মতো একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট থেকে এই পদক্ষেপ যেন এক প্রতীকী প্রতিবাদ—বুলেটের নয়, ব্যাটের ভাষায়।

ম্যাচ শেষে মুলতান সুলতানসের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে জানানো হয়, “আমরা আজ মাঠে ১৫ লাখ রুপি তুলেছি। এই অর্থ সরাসরি গাজার শিশুদের জন্য ব্যবহার করা হবে।” আর এভাবেই ক্রিকেট মাঠে উঠে এলো মানবতার জয়গান।

এই তো শুরু! টুর্নামেন্টে এখনও কমপক্ষে নয়টি ম্যাচ বাকি মুলতানের। প্রতিটি ম্যাচ মানে আরও ছক্কা, আরও উইকেট, এবং তার চেয়েও বড় কথা—আরও অনেক শিশুর মুখে হাসি ফোটানোর সুযোগ।

আগামী ১৬ এপ্রিল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামবে মুলতান সুলতানস। খেলার ফলাফল যাই হোক, একদিকে যেন নিশ্চিত—ছক্কার গর্জন থাকবে, এবং সেই সঙ্গে থাকবে মানবতার জয়ধ্বনি।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ