ঢাকা, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশের প্রতিবাদে ইসরাইলে তোলপাড়: ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১৩ ১৪:৩০:৩৭
বাংলাদেশের প্রতিবাদে ইসরাইলে তোলপাড়: ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বিশাল প্রতিবাদ। গত শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে প্রায় এক লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের জনগণ এই প্রতিবাদে ইসরাইলের নৃশংস হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রতি নিজেদের দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করে। এই প্রতিবাদ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি বাংলাদেশের জনগণের শক্তিশালী অবস্থান প্রকাশ করেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই প্রতিবাদে অংশ নেয় সকল ধর্ম, বর্ণ এবং শ্রেণী-পেশার মানুষ। প্রতিবাদকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে এবং “ফ্রি প্যালেস্টাইন” স্লোগান তুলে ইসরাইলের মানবতাবিরোধী হামলার প্রতিবাদ জানান। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছিল এক বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত।

টাইমস অফ ইসরাইলসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলি বাংলাদেশে এই বিশাল প্রতিবাদকে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছে। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আক্রমণ এবং গণহত্যার প্রতিবাদে এই মানব সমাবেশ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবাদকারীরা শুধু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেফটালি বেনেট, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সমালোচনা করেননি, বরং আরব শেখদেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন।

বাংলাদেশের এই প্রতিবাদ বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে। প্রতিবাদকারীরা বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক মহলকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, ওআইসি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন) যেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। এই প্রতিবাদ বাংলাদেশের জনগণের শক্তিশালী অবস্থান এবং ফিলিস্তিনের প্রতি আন্তরিক সমর্থনের প্রতীক হিসেবে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশের প্রতিবাদ সহ উত্তেজনার মধ্যে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজার খান ইউনিস ও আশেপাশের এলাকার জনগণকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, গাজার দক্ষিণ অংশে সেনাবাহিনী অতিরিক্ত হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সেখানে একটি নিরাপত্তা অঞ্চল গঠন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি ফিলিস্তিনে যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও তীব্র করে তুলছে।

বাংলাদেশের এই প্রতিবাদ আন্তর্জাতিক স্তরে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনের একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতারা তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন বজায় রেখেছে। এই প্রতিবাদ বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হওয়ায়, ফিলিস্তিনের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান আরও শক্তিশালী হয়েছে।

আব্দুর রহিম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ