ঢাকা, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২

ফিলিস্তিনের সমর্থনে ঢাকায় লাখো মানুষ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১২ ১২:৫৫:২৮
ফিলিস্তিনের সমর্থনে ঢাকায় লাখো মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ (শনিবার) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছে। সেখানে লাখো মানুষের সমাবেশ, এক কণ্ঠে ফিলিস্তিনের গাজার নিরস্ত্র জনগণের প্রতি সমর্থন জানাতে স্লোগান দিয়েছে। এই প্রতিবাদ ছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতি ও মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার।

সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি গেটের সামনে শুরু হয় জনতার ঢল। মানুষের হাতে ছিল বাংলাদেশের পতাকা এবং ফিলিস্তিনের পতাকা, আর সবার মুখে একটাই বার্তা—ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র জনগণের পাশে আমরা আছি। প্রায় প্রতিটি কনফারেন্স, সমাবেশ বা বিক্ষোভের মতোই, আজকের এই সমাবেশেও ছিল মানুষের মাঝে এক অদ্ভুত শক্তি, এক অঙ্গীকার।

যাত্রা শুরু হওয়ার আগেই, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশদ্বার থেকে দূরে দেখা যাচ্ছিল মানুষের বিশাল ভিড়। এক সাগরের মতো তারা ছড়িয়ে পড়েছিল আশপাশের সব এলাকায়। একের পর এক মিছিল এসে জড়ো হচ্ছিল, আর স্লোগানের আওয়াজে কম্পিত হচ্ছিল পুরো অঞ্চল। মানুষের মধ্যে ছিল এক অসীম একাত্মতা, যেন তারা এক সুরে উচ্চারণ করছে—"ফিলিস্তিনিদের পাশে আমরা আছি।"

ঢাকার ধানমন্ডি থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুলফিকার আহমেদ জানান, "আজকে আমরা এখানে এসে আমাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছে, আর আমরা মুসলিম হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। এটি আমাদের প্রতিবাদ এবং সমর্থনের প্রতীক।"

অন্যদিকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হওয়া মোতাসিম বিল্লাহ বলেন, "এমন বিশাল জনসমুদ্র আগে কখনো দেখিনি। যতদূর চোখ যায়, মানুষের ছড়িয়ে পড়া দৃশ্য চোখে পড়ে। সবাই একযোগে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।"

গুগল নিউজ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রতিবাদ বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে, এবং এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন পৌঁছানোর চেষ্টায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটেছে।

'প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ' এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারি, ক্রীড়াবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও। তাদের উপস্থিতি এই প্রতিবাদকে আরও শক্তিশালী করেছে।

আজকের এই সমাবেশ শুধু ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন নয়, বরং বিশ্ববাসীকে মানবিক সহানুভূতির বার্তা দেওয়া একটি বড় পদক্ষেপ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষের উপস্থিতি, তাদের একত্রিত আওয়াজ, আর ফিলিস্তিনের পক্ষে সোচ্চার এই আন্দোলন, এক ইতিহাস হয়ে থাকবে, যা বাংলাদেশের জনগণের অঙ্গীকার এবং মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার প্রমাণ বহন করছে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ