ঢাকা, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

ভারত ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করল: ইউনুসের বক্তব্যে চটেছে দিল্লি!

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১১ ১৮:১৫:৪২
ভারত ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করল: ইউনুসের বক্তব্যে চটেছে দিল্লি!

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার হঠাৎ করেই বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করে দিয়েছে। ফলে এখন থেকে বাংলাদেশ আর ভারতের জলসীমা, রেলপথ কিংবা সড়কপথ ব্যবহার করে নেপাল, ভুটান ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে (সেভেন সিস্টারস) পণ্য রপ্তানি করতে পারবে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত কেবল কূটনৈতিক নয়, বরং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়ার একটি কৌশল হতে পারে।

কী বলেছিলেন ইউনুস?

সম্প্রতি চীনের বেইজিংয়ে এক সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন—

“ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, অর্থাৎ সেভেন সিস্টারস অঞ্চল সমুদ্রবন্দরের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশ চায় চীন এই অঞ্চলে ব্যবসা বাড়াক, আর আমরা আমাদের সমুদ্রপথ ব্যবহার করতে দিই।”

এই বক্তব্যকে ‘অনধিকার চর্চা’ বলেই দেখছে ভারত। ভারতের মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় প্রবল আলোচনা। এমনকি মোদি ও ইউনুসের ব্যাংককের সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়েও ভারতীয় পর্যবেক্ষকরা বিস্ময় প্রকাশ করেন।

ভারতের পাল্টা সিদ্ধান্ত: বন্ধ ট্রানজিট!

ড. ইউনুসের বক্তব্যের পরপরই ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করে দেয়। এর ফলে বাংলাদেশ এখন আর ভারতের মধ্য দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য পাঠাতে পারবে না।

এদিকে বাংলাদেশ এখনও ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। ভারতের ট্রাক ও কনটেইনার প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের রাস্তায় চলাচল করছে, ত্রিপুরা ও মেঘালয়সহ সেভেন সিস্টারস রাজ্যে বাংলাদেশ হয়ে পণ্য যাচ্ছে।

বাংলাদেশ চাইলে কী করতে পারে?

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ যদি পাল্টা ট্রানজিট বন্ধ করে দেয়, তাহলে ভারতের সেভেন সিস্টারস অঞ্চলে পণ্য সরবরাহে বড় ধাক্কা আসবে।

ত্রিপুরা ও মিজোরামের বাজারে খাদ্য ও নিত্যপণ্যের সংকট দেখা দিতে পারে।

সামরিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।

বাংলাদেশ কী পদক্ষেপ নেবে?

এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন,“বাংলাদেশ যদি বঙ্গোপসাগরের প্রকৃত মালিক, তাহলে তার ভূমিকাও হতে হবে গার্ডিয়ানের মতো।”

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ। এই ট্রানজিট ইস্যুতে যদি দুই দেশ আলোচনার টেবিলে না আসে, তাহলে ভবিষ্যতে এই উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে।

মো: রাজিব আলী/

রাজনীতি - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ