ঢাকা, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

চারুকলায় সাজানো হচ্ছে শেখ হাসিনাকে

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১১ ১৭:৩৬:০১
চারুকলায় সাজানো হচ্ছে শেখ হাসিনাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পহেলা বৈশাখের উৎসব এবার হবে একদম ভিন্ন রকম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজন করা হবে একটি বিশেষ শোভাযাত্রা, যা শুধু বর্ষবরণের আনন্দই নয়, বরং একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছাবে সমাজের প্রতিটি স্তরে। প্রতিবছরের মতো এবারের শোভাযাত্রা হবে বর্ণাঢ্য এবং সৃজনশীল, তবে এবার এক নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে—ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রতিবাদ।

ফ্যাসিবাদের প্রতীক: শেখ হাসিনার মুখাবয়বের চিত্রায়ন

শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ থাকবে একটি মুখাবয়ব, যা বিশেষভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে। মুখটির দুই পাশে শিং-এর মতো আকৃতি থাকছে, যাতে এটি আরও ভয়াবহভাবে উপস্থাপন করা হবে। এই প্রতীকটি মূলত ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রতিবাদ হিসেবে দেখানো হবে। শোভাযাত্রার মাধ্যমে একনায়কত্ব এবং শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ ফুটিয়ে তোলা হবে।

‘জুলাই বিপ্লব’-এর প্রতিফলন

এছাড়া, শোভাযাত্রায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠবে ‘জুলাই বিপ্লব’—একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ঘটনা, যা বর্তমানে বাংলাদেশে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই বিপ্লবের স্মরণে একটি বিশেষ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে, যা প্রায় ১৫ ফুট উচ্চতার একটি পানির বোতলের আকারে নির্মিত। এই ভাস্কর্যের ভেতরে থাকবে অসংখ্য ছোট পানির বোতল, যা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে এবং জলাধিকার আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরবে।

গণজাগরণ এবং প্রতিবাদ

বর্ষবরণের এই শোভাযাত্রা শুধুমাত্র এক সাংস্কৃতিক আয়োজন নয়, বরং এটি একটি গণজাগরণের সংকেত, যেখানে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের শক্তিশালী চেতনা পরিবেশিত হবে। প্রতিবাদের ভাষা শিল্পের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছানোর প্রয়াস এটি।

নাম পরিবর্তন: ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’

এবারের শোভাযাত্রা এক নতুন পরিচয়ে হাজির হচ্ছে। পূর্বের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি পরিবর্তন করে এর নাম রাখা হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে এক সভায় এই নাম পরিবর্তন নিশ্চিত করা হয়। এটি আরও এক নতুন মাত্রা যোগ করবে এবারের উৎসবে।

সামাজিক বার্তা এবং সংস্কৃতির শক্তি

চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে এবারের শোভাযাত্রা হবে এক অনন্য আন্দোলন, যা শুধু বর্ষবরণের আনন্দে ভরা থাকবে না, বরং এটি সমাজের মধ্যে পরিবর্তনের তাগিদও ছড়িয়ে দেবে। এই শোভাযাত্রা শুধু সাংস্কৃতিক নয়, বরং একটি প্রতিবাদ এবং সামাজিক সচেতনতামূলক বার্তাও বহন করবে।

অতএব, এবারের পহেলা বৈশাখ শুধু উৎসবের দিন নয়, বরং একটি গণজাগরণের দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে।

মো: ফারুক/

রাজনীতি - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ