ঢাকা, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

বাংলার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ হয়ে উঠলেন মিতুল, গড়লেন ইতিহাস

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১১ ১১:১৫:৩৮
বাংলার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ হয়ে উঠলেন মিতুল, গড়লেন ইতিহাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফুটবল এমনই এক খেলা যেখানে এক মুহূর্তে বদলে যেতে পারে পুরো গল্প। আর সেই গল্পটা এবার লিখলেন আবাহনীর গোলকিপার মিতুল মার্মা—যিনি এখন দেশের ফুটবলপ্রেমীদের চোখে "বাংলার এমি মার্টিনেজ"।

টাইব্রেকারে পিছিয়ে পড়েও নায়ক মিতুল

ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে যখন টাইব্রেকারে আবাহনী লিমিটেড পিছিয়ে পড়ে ১-০ ব্যবধানে, অনেকেই ধরে নিয়েছিল ম্যাচ শেষ। কারণ শুরুতেই সতীতের পেনাল্টি মিস, আর বসুন্ধরার টানা দুটি গোল—সবই ছিল আবাহনীর বিরুদ্ধে।

কিন্তু তখনই আবির্ভাব ঘটে মিতুল মার্মার। একে একে ঠেকিয়ে দেন বসুন্ধরার দুটি নিশ্চিত গোল। তার অসাধারণ রিফ্লেক্স, একাগ্রতা ও মানসিক দৃঢ়তায় ম্যাচে ফিরে আসে আবাহনী। টাইব্রেকারে শেষ হাসি হাসে তারাই।

১০ জনের দল, তবুও হাল ছাড়েনি আবাহনী

পুরো ম্যাচে দারুণ উত্তেজনা ছিল। প্রথমার্ধেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আবাহনীর এক ফুটবলার। ফলে তারা ১০ জনের দলে পরিণত হয়। কিন্তু মিতুল ছিলেন এমন এক দেয়াল, যাকে টপকানো যাচ্ছিল না।

৫৭ মিনিটে এক গোল করে এগিয়ে যায় আবাহনী। তবে ৮৪তম মিনিটে সমতায় ফিরে বসুন্ধরা কিংস। এরপর আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

গোলবারে শুরু হয় আসল যুদ্ধ: মিতুল বনাম জিকো

টাইব্রেকারের আগে বসুন্ধরার কোচ মেহেদী হাসান শ্রাবণকে তুলে এনে মাঠে আনেন অভিজ্ঞ গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকোকে। অনেকেই ভেবেছিল, অভিজ্ঞ জিকোই নির্ধারণ করবেন ম্যাচের ভাগ্য।

প্রথম শটেই জিকো সেভ করে আবাহনীকে চাপে ফেলে দেন। কিন্তু সেই চাপ থেকে বেরিয়ে এসে যেন ভয়হীন এক সৈনিক হয়ে দাঁড়ালেন মিতুল মার্মা। একে একে ঠেকিয়ে দিলেন দুটো শট, বসুন্ধরার স্বপ্ন থেমে গেল সেখানেই।

“মনস্টার মেন্টালিটি”র প্রতীক এখন মিতুল

এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো—মিতুল শুধু একজন গোলকিপার নন, তিনি পুরো দলের আত্মা। যেমনভাবে বিশ্বকাপ জেতাতে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন আর্জেন্টিনার, ঠিক তেমনি আবাহনীকে ফাইনালে তুললেন মিতুল।

তিনি শুধু বাংলার নয়, এখন গোটা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা গোলকিপার বললেও ভুল হবে না।

সামনে এখন ফেডারেশন কাপ ফাইনাল

এই জয়ের ফলে আবাহনী লিমিটেড উঠেছে ফেডারেশন কাপ ২০২৫-এর ফাইনালে। এখন দেখার পালা, ফাইনালেও কি বাংলার এমি মার্টিনেজ আবারও চমকে দেবেন দেশবাসীকে?

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ