ঢাকা, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১

ড. ইউনুসের কূটনীতির চমক: মোদি সরকার নতুন দৃষ্টিতে বাংলাদেশকে দেখবে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ০৬ ১১:৫৯:৩৬
ড. ইউনুসের কূটনীতির চমক: মোদি সরকার নতুন দৃষ্টিতে বাংলাদেশকে দেখবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব রাজনীতির অঙ্গনে অনেক নেতাই শব্দের ঝলকানি দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা ও প্রভাব দেখাতে চান। কিন্তু ইতিহাস বলে, সব বিজয় শব্দের আওয়াজে আসে না। কিছু জয় আসে নিঃশব্দ কৌশলে, বা কখনো এক টুকরো হাসিতে। এই কথা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের কূটনৈতিক শৈলীতে একেবারে প্রমাণিত। শান্ত, নরম স্বভাবের এক মেধাবী ব্যক্তি, যিনি নিজের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরতে কোন উচ্চস্বরে কথা বলেন না, কিন্তু তার উপস্থিতি এবং কৌশলই হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় প্রভাবশালী অস্ত্র।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যাকে বিশ্বব্যাপী একজন কৌশলী এবং শক্তিশালী নেতা হিসেবে জানানো হয়, কখনো কল্পনাও করেননি যে, বাংলাদেশ থেকে এক নীরব কূটনীতিক তাকে এমন একটি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবেন। এটি ঘটলো এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে, যেখানে মোদি বসেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে, ঠিক তখনই এক দৃপ্ত পদক্ষেপে প্রবেশ করলেন ড. মোহাম্মদ ইউনুস। তার উপস্থিতি যেন পুরো রুমে এক অদৃশ্য শক্তি ছড়িয়ে দিলো। উপস্থিত সবাই একে একে দাঁড়িয়ে সম্মান জানালেন তাকে।

এই বৈঠকে, ড. ইউনুস মোদির সামনে এক এক করে তুলে ধরলেন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো—তিস্তা চুক্তি, সীমান্ত হত্যা, পানি বণ্টন, এবং শেখ হাসিনার ভূমিকা সম্পর্কে তার বক্তব্য। কিন্তু সবার নজর কেড়েছিল তার কূটনৈতিক ম্যানুভার। তিনি এসব দাবি তুলে ধরলেন এমন এক দৃঢ় এবং শান্ত কণ্ঠে, যেন ভারত বুঝে গেছে, এটি শুধু রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কোনো দাবি নয়, বরং দুটি দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়।

বৈঠকের এক মুহূর্তে, ড. ইউনুস মোদির সামনে তুলে দিলেন একটি বিশেষ উপহার—২০১৫ সালে মোদি নিজ হাতে তাকে দেওয়া একটি স্বর্ণপদক পরানো ছবির ফ্রেম। এটির মাধ্যমে তিনি যে বার্তা দিলেন, তা ছিল অত্যন্ত গভীর—‘এই সম্পর্কের মুল্য আপনি মনে রাখুন’। ছবিটি যেন শুধুমাত্র একটি কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা ও বন্ধুত্বের মর্ম প্রকাশ করে।

আরও পড়ুন:

রাজনৈতিক পরিস্থিতি: ইউনুস সরকারের মেয়াদ এবং সেনাশাসনের গুঞ্জন

বিশ্লেষকরা বলেন, এটি ছিল একটি নিখুঁত কূটনৈতিক কৌশল, যা মোদিকে তার সরকারের অবস্থান এবং দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে পুনরায় ভাবতে বাধ্য করেছে। ড. ইউনুসের এই আচরণ মোদিকে দেখিয়ে দিলো, শুধুমাত্র উচ্চস্বরে কথা বলা নয়, অনেক সময় একটি নিরব, শক্তিশালী এবং শান্ত কূটনীতি পরবর্তী সিদ্ধান্তগুলোর ভিত্তি তৈরি করতে পারে।

গুরুতর এই বৈঠকের পর মোদি বুঝতে পারলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে। একদিকে যেমন তার সরকারের কূটনৈতিক শৈলী পরীক্ষিত, অন্যদিকে ড. ইউনুসের শান্ত কিন্তু দৃঢ় কৌশলও এক নতুন শিক্ষা হয়ে উঠল, যে, প্রভাব তৈরির জন্য সবসময় শব্দের তেজ প্রয়োজন হয় না—কখনো কখনো একটি নীরব, প্রজ্ঞাবান পদক্ষেপই সবচেয়ে বড় বিজয় এনে দেয়।

মো: রাজিব আলী/

জাতীয় - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ