২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট: নতুন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার দিগন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ সরকার একটি বিশাল বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছে, যার আকার হতে পারে সাড়ে ৮ লাখ কোটি টাকা। দেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যত লক্ষ্যকে সামনে রেখে, নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫ শতাংশ রাখা হতে পারে।
বাজেট উপস্থাপনায় নতুন ধারার সূচনা
সাধারণত, রাজনৈতিক সরকারের অর্থমন্ত্রী সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন। তবে এই বছর সংসদ নেই, এবং রাজনৈতিক সরকারও কার্যকর নয়। ফলে, এবার বাজেট ঘোষণা করা হবে সরাসরি টেলিভিশনে, যেখানে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতির উদ্দেশে বাজেট বক্তব্য দেবেন। বাজেট ঘোষণার প্রক্রিয়া রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। এ ধরণের টেলিভিশন ভাষণ পূর্বে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা মো. আজিজুল ইসলাম দিয়েছিলেন।
বাজেট প্রস্তুতিতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
অর্থ সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ইতিমধ্যেই মন্ত্রণালয়গুলোর সচিবদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন, যাতে তারা তাদের অধীনস্থ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন, নীতি, আইন ও পরিকল্পনা বাজেট বক্তব্যে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। এতে বাজেটের পরিপূর্ণতা এবং তা বাস্তবায়নের ভিত্তি দৃঢ় হবে।
মূল্যস্ফীতি ও বাজেট ঘাটতির চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশে বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যা নতুন বাজেটে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪.৬ শতাংশ। নতুন বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ৫ শতাংশের নিচে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, চলতি বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের নিচে থাকতে পারে, তবে সরকার আগামী বছর ৫.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।
রাজস্ব সংগ্রহ: বড় লক্ষ্য, কঠিন বাস্তবতা
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) খাতে খরচ হয়েছে মাত্র ৪০ হাজার কোটি টাকা, যেখানে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা, তবে ৫ মাসে ১ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে। সরকার রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য ৯ জানুয়ারি থেকে শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট-শুল্ক বাড়িয়েছে।
পূর্ববর্তী বাজেটের তুলনায় নতুন ভাবনা
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা পরবর্তীতে সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকায় সীমিত করা হয়। গত বছর ২০২৩-২৪ সালে বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা করা হয়েছিল।
সাফল্যের চ্যালেঞ্জ
নতুন বাজেটের সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করবে সরকারের অর্থনৈতিক নীতি এবং কৌশলের উপর, বিশেষত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং রাজস্ব আদায়ের জন্য। যদি সরকার তার লক্ষ্য সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে, তবে তা দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণে বড় ভূমিকা রাখবে।
মো: ফারুক/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল বিএসইসি
- সিলেটে ক্রিকেট মাঠে শোকের ছায়া: বিসিবি কর্মকর্তার অকাল মৃত্যু
- সোনার বাজার: বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় খবর: ৩০ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২১ এপ্রিল ২০২৫)
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- বিনিয়োগকারীদের জন্য মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১০% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- সিলেটে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে: উত্তেজনা চলছেই
- শ্রীলঙ্কার ‘না’ বলে দেওয়া, ভারতের সেতু স্বপ্ন স্থগিত
- দুই কোম্পানিতে শেয়ারবাজার ডুবেছে : আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা
- বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় খবর: ৭ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা