ঢাকা, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১

ঈদের নামাজের রাকাত ছুটে গেলে কী করবেন, জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি

২০২৫ মার্চ ২৮ ২০:৩৫:১৮
ঈদের নামাজের রাকাত ছুটে গেলে কী করবেন, জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুসলমানদের জন্য ঈদ শুধু আনন্দের দিন নয়, এটি এক মহিমান্বিত ইবাদতের উপলক্ষও। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতরকে বলা হয় ‘ইয়াওমুল জায়েজ’ বা পুরস্কারের দিন। এই দিনে অন্যতম প্রধান আমল হলো ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ। তবে নামাজের নিয়ম সঠিকভাবে জানা না থাকলে কেউ কেউ হয়তো রাকাত ছুটিয়ে ফেলতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ঈদের নামাজ: আনন্দের শুরু

ঈদের দিন সকালবেলা পবিত্রতা ও নতুন পোশাক পরে মুসল্লিরা ঈদগাহ বা মসজিদে ছুটে যান। এই নামাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অতিরিক্ত তাকবির, যা অন্য ফরয নামাজে থাকে না। তবে যদি কেউ নামাজে দেরিতে পৌঁছায় এবং কিছু অংশ ছুটে যায়, তবে কীভাবে তা পূরণ করবেন?

যদি প্রথম রাকাত ছুটে যায়

কেউ যদি ইমামের কেরাত চলাকালীন নামাজে শরিক হয়, তবে তাকবিরে তাহরিমা বলে অতিরিক্ত তিনটি তাকবির দিয়ে ইমামের অনুসরণ করবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক : ৫৭১৪)

আর যদি ইমামকে রুকুতে পায়, তাহলে:

যদি মনে হয় তাকবিরগুলো বলে রুকুতে যাওয়া সম্ভব, তাহলে তাই করবে।

যদি মনে হয় এতটুকু সময় নেই, তাহলে শুধু তাকবিরে তাহরিমা বলে সরাসরি রুকুতে চলে যাবে এবং রুকুতে অবস্থান করেই অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবে। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে নামাজ চালিয়ে যাবে। (আলবাহরুর রায়েক : ১/১৬১)

যদি দ্বিতীয় রাকাত ছুটে যায়

কেউ যদি দ্বিতীয় রাকাতে এসে নামাজে শরিক হয়, তাহলে ইমামের সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে প্রথমে সূরা-কেরাত পড়বে। এরপর রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবে। অর্থাৎ, ছুটে যাওয়া প্রথম রাকাত আদায়ের সময় দ্বিতীয় রাকাতের মতো রুকুর আগে তাকবিরগুলো বলতে হবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৫৮১৩)

যদি ইমামের তাশাহুদের সময় এসে নামাজে যোগ দেয়

যদি কেউ দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর পর বা শেষ বৈঠকে (তাশাহুদ) এসে নামাজে শরিক হয়, তাহলে ইমামের সালামের পর দাঁড়িয়ে প্রথমে সূরা-কেরাতের আগেই অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবে। এরপর দ্বিতীয় রাকাতের মতো কেরাত ও তাকবির আদায় করে নামাজ সম্পন্ন করবে। (ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৮৫)

ঈদের নামাজের প্রতিটি অংশেই রয়েছে আনন্দ ও বরকত। তাই যদি কোনো কারণে নামাজের কোনো অংশ ছুটে যায়, তবে শঙ্কিত না হয়ে শরীয়তের নির্দেশনা অনুযায়ী তা পূরণ করা উচিত। ঈদের এই আনন্দঘন মুহূর্তে ইবাদত যেন শুদ্ধভাবে পালন করা হয়, সেটিই প্রত্যেক মুসলমানের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

আব্দুর রহিম/

ধর্ম - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ