ইসলামী ব্যাখ্যা: কাজা রোজা এবং মৃত ব্যক্তির দায়িত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামে রোজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যার মধ্যে রয়েছে আত্মবিশ্লেষণ, আত্মসংযম, এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গভীর করার সুযোগ। তবে, কিছু পরিস্থিতিতে ব্যক্তি রোজা রাখতে পারেন না, যেমন অসুস্থতা, সফর, বা বয়সের কারণে। এমন পরিস্থিতিতে, রোজা না রাখলে সেই রোজা পরে কাজা করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে মৃত ব্যক্তির রোজার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ বিধান রয়েছে, যা মুসলিম উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
যদি কোনও ব্যক্তি মারা যান এবং তার ওপর কিছু রোজা কাজা থাকে, তাহলে তার জন্য কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে। বিশেষত, যদি সেই ব্যক্তি পরবর্তী রমজান আসার আগে মারা যান, তবে তার ওপর কাজা রোজা আদায় করা ওয়াজিব হবে না। কারণ, মৃত্যুর পর কাজা আদায় করা সম্ভব নয়, আর মৃত্যুর পূর্বে সে কাজা আদায়ের জন্য বিলম্ব করতে পারতেন। তবে, যদি সে ব্যক্তি নতুন রমজান শুরু হওয়ার পর মারা যান এবং তার রোজা আদায়ের বিলম্বটা অসুস্থতা বা সফরের কারণে হয়ে থাকে, তাহলে তার ওপর কোনও দায় থাকবে না। এই ক্ষেত্রে আল্লাহর দয়া ও ক্ষমার ওপর নির্ভরশীল।
যদি ব্যক্তি কোনো গ্রহণযোগ্য কারণে নয়, বরং নিজের খেয়ালে রোজা কাজা করতে বিলম্ব করেন, এবং সে অবস্থায় মারা যান, তবে তার জন্য পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে ‘ফিদয়া’ দেওয়া ওয়াজিব হবে। ফিদয়া বলতে, প্রতি দিনের জন্য একজন অভাবীকে খাবার দেওয়া বোঝানো হয়। এর মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে সেই কাজা রোজার পূর্ণতা আনা হয়। ইসলামিক শাস্ত্রে এটি একটি পরিপূর্ণতা অর্জন করার পথ হিসেবে গণ্য হয়। এক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির জন্য ‘ফিদয়া’র অসিয়ত করাও ওয়াজিব।
মানতের রোজা একটি বিশেষ প্রকারের রোজা, যা কোনো ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় আল্লাহর কাছে মানত করেছিলেন কিন্তু তা পালন করতে পারেননি। এমন ক্ষেত্রে, মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে তার ওয়ারিশরা রোজা পালন করতে পারেন। হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, একজন ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলেছিলেন, “আমার মা মানতের রোজা পালন না করে মারা গেছেন, আমি কি তার পক্ষ থেকে রোজা পালন করতে পারি?” রাসুল (সা.) বলেছিলেন, “হ্যাঁ।” (বুখারি, হাদিস: ১,৯৫৩; মুসলিম, হাদিস: ১,১৪৭)। এর মানে হল যে, মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশরা তার মানতের রোজা পূর্ণ করার জন্য রোজা রাখতে পারেন, এবং এটি মুস্তাহাব (প্রশংসনীয়)।
ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তির কাজা রোজা ও মানতের রোজা সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধান রয়েছে। যদি রোজা কাজা করার জন্য কিছু বৈধ কারণ থাকে, তবে তা আদায় করতে হবে, আর যদি বিলম্ব হয়, তবে ‘ফিদয়া’ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অন্যদিকে, মানতের রোজা থাকার ক্ষেত্রে ওয়ারিশদের পক্ষ থেকে সেই রোজা পালন করা মুস্তাহাব, যা ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই প্রশংসনীয়।
এছাড়া, ইসলামী বিধানগুলো একে অপরের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়, বরং প্রতিটি পরিস্থিতিতে আলাদা আলাদা বিধান রয়েছে, যা মুসলমানদের কাছে একটি গভীর শিক্ষার বিষয়।
সামিরা বিনতে আরোহী/
ধর্ম - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: সম্ভাব্য একাদশ, পরিসংখ্যান ও সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- সৌদি আরবে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা
- ম্যাচ হারার পর মুস্তাফিজকে নেয়ার বিষয়ে যা বললেন কলকাতার অধিনায়ক রাহানে
- আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল: বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মোবাইলে খেলা দেখবেন যেভাবে
- এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের চমক
- অ্যাম্বুলেন্স চালকের অছিলায় বাঁচলো তামিমের জীবন
- সৌদি আরবে ঈদের জামাতের সময়সূচি ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের নতুন নিয়ম করলো বিএসইসি
- দেখা গেছে চাঁদ: সৌদি আরবে ঈদের জামাতের সময় সূচি ঘোষণা
- আমিরাতে ঈদের জামাতের সময়সূচি: এক নতুন আনন্দের সূচনা
- কিছুক্ষণ পর মাঠে নামছে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা: সরাসরি মোবাইলে খেলা দেখবেন যেভাবে
- ঈদুল ফিতরের দিনক্ষণ নিয়ে যা জানালো সৌদি আরব
- জানা গেল বাংলাদেশে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ
- বাংলাদেশ বনাম ভারত: ম্যাচ শুরু সরাসরি মোবাইলে দেখবেন যেভাবে
- ২০৯ রান করেও হেরে তাসকিনকে নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল লাখনৌ