ঢাকা, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১

সপ্তাহজুড়ে লেনদেন কমলেও বাজার মূলধনে ইতিবাচক ধারা

২০২৫ মার্চ ২৮ ১৬:০৯:৪৭
সপ্তাহজুড়ে লেনদেন কমলেও বাজার মূলধনে ইতিবাচক ধারা

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চলতি সপ্তাহে মিশ্র প্রবণতা দেখিয়েছে। সূচকের উত্থানের সাথে সাথে বাজার মূলধনও বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে লেনদেনের পরিমাণ ছিল নিম্নগামী। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমলেও বাজারের স্থিতিশীলতা ইতিবাচক ধারায় ছিল।

বাজার মূলধনের উত্থান

এই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের ৬ লাখ ৭১ হাজার ৫১৭ কোটি টাকার তুলনায় ২ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা বা ০.৩৫ শতাংশ বেশি। বাজারের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৭.৪৬ পয়েন্ট বা ০.৩৪ শতাংশ, ডিএসই-৩০ সূচক ২৬.৮১ পয়েন্ট বা ১.৪২ শতাংশ এবং ডিএসইএস সূচক ১০.০৯ পয়েন্ট বা ০.৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

লেনদেনের চিত্র

যদিও সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল, সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন কমেছে ৭৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬২৭ কোটি ১১ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম। প্রতিদিনের গড় লেনদেন ছিল ৪০৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪.৭০ শতাংশ কম।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৩টির দর বেড়েছে, ১৬১টির কমেছে এবং ৪২টির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

সিএসইর পারফরম্যান্স

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এ সপ্তাহে সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সিএএসপিআই সূচক ০.১২ শতাংশ এবং সিএসসিএক্স সূচক ০.০৮ শতাংশ কমে যথাক্রমে ১৪,৫৪১.৩৫ পয়েন্ট ও ৮,৮৪২.৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে, সিএসই-৫০ সূচক ০.৩৮ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ০.১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে যথাক্রমে ১,১১৩.৪১ পয়েন্ট ও ৯৪২.১৭ পয়েন্ট হয়েছে।

সিএসই-৩০ সূচক ০.৮১ শতাংশ বেড়ে ১২,০২৭.৯৮ পয়েন্টে পৌঁছেছে।

সিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের ২৮ কোটি টাকার তুলনায় ২২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বেশি। সপ্তাহজুড়ে এখানে ২৮২টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ১০০টির দর বেড়েছে, ১৫৯টির কমেছে এবং ২৩টির অপরিবর্তিত ছিল।

বিশ্লেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করা হলে লেনদেনের নিম্নগতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। যদিও বাজার মূলধনের বৃদ্ধি ইতিবাচক লক্ষণ, তবে দীর্ঘমেয়াদে বাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সামনের সপ্তাহগুলোতে বাজারের গতিপ্রকৃতি কেমন হবে, তা নির্ভর করবে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব এবং বাজারে তারল্য পরিস্থিতির ওপর।

রাজিব/

শেয়ার নিউজ - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ