ঢাকা, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১

টানা লোকসানে ম্যাকসনস স্পিনিং, বিনিয়োগকারীদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে

২০২৫ মার্চ ২৭ ১০:৪০:৩৭
টানা লোকসানে ম্যাকসনস স্পিনিং, বিনিয়োগকারীদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা লোকসানের ধাক্কায় সংকটে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান ম্যাকসনস স্পিনিং মিলস লিমিটেড। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সায়, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮৬ পয়সা।

ব্যবসায়িক প্রতিকূলতা থেকে বের হতে না পারায় বছরের প্রথম ছয় মাসেও (জুলাই-ডিসেম্বর) লোকসান থেকে মুক্তি মেলেনি। এই সময় কোম্পানিটির ইপিএস ঋণাত্মক ৩ টাকা ৪৯ পয়সা হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯২ পয়সা।

আরও পড়ুন:

শেয়ার বাজারে নতুন নিয়ম: বিএসইসিতে তিনটি বিষয়ে সুপারিশ জমা

বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ও বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে কোম্পানির চলমান সংকটের চিত্র উঠে এসেছে। কাঁচামালের ব্যয় বৃদ্ধি, বেতন-মজুরি ও পরিষেবা ব্যয়ের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, ঋণের সুদ ও অন্যান্য আর্থিক ব্যয়ের চাপে কার্যত ধুঁকছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই লোকসানের প্রভাব পড়েছে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যেও (এনএভি)। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেখানে এনএভি ছিল ১২ টাকা ২৯ পয়সা, তা ৩১ ডিসেম্বর শেষে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮ টাকা ৮১ পয়সায়।

শুধু তাই নয়, কোম্পানিটির নগদ অর্থপ্রবাহের অবস্থাও হতাশাজনক। জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ছিল মাইনাস ৫ টাকা ৫০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল মাইনাস ২ টাকা ৮২ পয়সা।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণেও ব্যর্থ ম্যাকসনস স্পিনিং। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ২২ টাকা ৩০ পয়সায়, তবে সর্বনিম্ন নেমে আসে ৭ টাকায়।

লভ্যাংশ বিতরণেও ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি কোম্পানিটি। ২০২২ সালে ১০ শতাংশ, ২০২১ সালে ১১ শতাংশ, ২০২০ ও ২০১৯ সালে মাত্র ২ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে ২০১৭, ২০১৪, ২০১৩ ও ২০১২ সালে ৫ শতাংশ করে বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করেছিল।

টানা লোকসানে থাকা প্রতিষ্ঠানটি সামনে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, তা নিয়েই এখন বিনিয়োগকারীদের মনে নানা প্রশ্ন। ব্যয় সংকোচন ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির নানা পরিকল্পনা নেয়া হলেও, বাস্তবায়নে কতটা সফল হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

রাজিব/

শেয়ার নিউজ - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ