ঢাকা, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১

নৃশংস হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্য:

সাত ফুট গভীর গর্তে ফেলে ভাড়াটেকে জীবন্ত কবর দিলেন বাড়ির মালিক

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ২৬ ১৯:৩৫:০৬
সাত ফুট গভীর গর্তে ফেলে ভাড়াটেকে জীবন্ত কবর দিলেন বাড়ির মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের হরিয়ানার রোহতকে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ও লোমহর্ষক ঘটনা, যা সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। নিছক সন্দেহের বশে এক বাড়ির মালিক তার ভাড়াটেকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যা করলেন এবং তাকে জীবন্ত কবর দিলেন সাত ফুট গভীর গর্তে!

কীভাবে ঘটল এই ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড?

নিহত জগদীপ ছিলেন একজন যোগব্যায়াম শিক্ষক। তার জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ দিন আসে ২৪ ডিসেম্বর রাতে, যখন বাড়ির মালিক হারদীপ ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে তাকে অপহরণ করেন। সন্দেহ ছিল—তার স্ত্রীর সঙ্গে জগদীপের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে।

প্রথমে হারদীপ কৌশলে তার বাড়ির উঠোনে একটি কুয়া খননের ঘোষণা দেন এবং সাত ফুট গভীর গর্ত খুঁড়িয়ে নেন। তারপর সুযোগ বুঝে জগদীপকে ধরে ফেলে।

নির্যাতনের বিভীষিকা

হাত-পা শক্ত করে বাঁধা

মুখে টেপ লাগিয়ে চিৎকার বন্ধ করা

নির্মম মারধর

সাত ফুট গভীর গর্তে ফেলে দেওয়া

জীবন্ত অবস্থায় মাটি চাপা দেওয়া

মৃত্যুর আগে হয়তো শেষবারের মতো মুক্ত বাতাস নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জগদীপ, কিন্তু মুখে টেপ থাকায় তার আর্তচিৎকার কেউ শুনতে পায়নি। ঘাতকরা ঠান্ডা মাথায় মাটি চাপা দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে ফিরে যায়!

তদন্তে নতুন মোড়

জগদীপ নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে ৩ জানুয়ারি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রথমদিকে তদন্তে কোনো অগ্রগতি ছিল না, কিন্তু মোবাইল কল রেকর্ড বিশ্লেষণের পর রহস্যের জট খুলতে থাকে।

পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে বাড়ির মালিক হারদীপের দিকে। তাকে আটক করে রিমান্ডে নিলে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দেয় সে এবং তার সহযোগী।

মৃতদেহ উদ্ধার ও গ্রেপ্তার

গত ২৪ মার্চ পুলিশের নেতৃত্বে পান্তাভাস গ্রামে খোঁজ চালিয়ে মাটির নিচে চাপা দেওয়া অবস্থায় জগদীপের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরও কয়েকজন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে এবং তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

সমাজের জন্য সতর্কবার্তা!

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড গোটা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সন্দেহ ও প্রতিহিংসা কীভাবে একজন মানুষকে ঠান্ডা মাথায় খুনি বানিয়ে দিতে পারে, এটি তারই নির্মম উদাহরণ।

সবার জন্য সতর্কবার্তা:

সন্দেহের বশে হঠকারী সিদ্ধান্ত নয়

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়া

সমস্যার সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায় খোঁজা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেওয়া

পুলিশ কর্মকর্তা কুলদীপ সিং বলেছেন, ‘এই মামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

এই নৃশংস ঘটনার উপযুক্ত বিচার হবে তো? নাকি আরও একবার অপরাধীরা রেহাই পাবে? আপনার মতামত জানান!

আব্দুর রহিম/

বিশ্ব - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ