ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১

জাতীয় স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের স্লোগান(ভিডিওসহ)

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ২৬ ১৩:৩৯:০০
জাতীয় স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের স্লোগান(ভিডিওসহ)

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় স্মৃতিসৌধ, যেখানে বীর শহীদদের আত্মত্যাগের স্মৃতি চিরকাল অমলিন, সেখানে সম্প্রতি এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়— "জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু"— স্লোগান, যা মুহূর্তের মধ্যে পরিবেশে ভিন্নমাত্রা এনে দেয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের এই আবেগঘন স্লোগান কিছু দর্শনার্থীর মনে অনুভূতির সঞ্চার করলেও, অন্যদিকে তা সৃষ্টি করে উত্তেজনার স্ফুলিঙ্গ।

স্মৃতিসৌধে আবেগ ও উত্তেজনার সংমিশ্রণ

শ্রদ্ধা নিবেদনের এই পবিত্র স্থানটি সবসময়ই রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকেছে। তবে, এদিন সেখানে উচ্চারিত রাজনৈতিক স্লোগান জনমনে বিভক্ত প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। কিছু সাধারণ দর্শনার্থী একে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সম্মান জানানোর অংশ বলে দেখলেও, অনেকে এটিকে অনভিপ্রেত মনে করেন। ধীরে ধীরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা একপর্যায়ে সংঘর্ষের রূপ নেয়।

সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ

এই ঘটনার একপর্যায়ে সাংবাদিকরাও শিকার হন বিশৃঙ্খলার। এক পরিচিত টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকের ওপর শারীরিক হামলার অভিযোগ ওঠে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। আক্রান্ত সাংবাদিক পরে জানান, তিনি একজন প্রবাসী, এবং তার ওপর হামলা নিছক অপ্রীতিকরই নয়, বরং নিন্দনীয়ও।

নিরাপত্তা বাহিনীর হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণ

ঘটনার দ্রুত বিস্তার দেখে নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে হস্তক্ষেপ করে। তাদের তৎপরতায় পরিস্থিতি শিথিল হলেও, মুহূর্তের সেই ঘটনাগুলো স্মৃতিসৌধের ভাবগাম্ভীর্যে অস্বস্তির ছাপ ফেলে।

সমালোচনার ঝড় ও নৈতিক বিতর্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনদের আলোচনায় এই ঘটনাটি ব্যাপকভাবে উঠে আসে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ কি শুধুই একটি স্মরণস্থল, নাকি রাজনৈতিক আবেগের প্রকাশভূমি? অনেকে বলছেন, এই ধরনের ঘটনাগুলো শ্রদ্ধার পরিবেশকে ক্ষুণ্ন করে এবং পবিত্র স্থানকে রাজনীতির মঞ্চে পরিণত করে।

স্মৃতিসৌধের পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান

এই ঘটনার পর দেশজুড়ে আহ্বান ওঠে, স্মৃতিসৌধ যেন শুধু শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের স্থান হিসেবেই থাকে। সকল রাজনৈতিক পক্ষের প্রতি শান্তি ও সংযম বজায় রেখে, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে এই স্থানকে সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

এই ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়— জাতীয় স্মৃতিসৌধ কেবল একটি স্থাপনা নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, আত্মত্যাগ ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। তাই এখানে প্রতিটি উচ্চারিত শব্দ ও আচরণ হওয়া উচিত সংবেদনশীল, মর্যাদাপূর্ণ এবং ঐক্যের বার্তাবাহী।

মো: রাজিব আলী/

জাতীয় - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ