ঢাকা, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১

শেয়ার কারসাজি: ৫ জনকে ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার জরিমানা

২০২৫ মার্চ ২৫ ১৬:১০:৪৬
শেয়ার কারসাজি: ৫ জনকে ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগে জেমিনি সী ফুড লিমিটেডের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করেছে। এই ঘটনায় ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার জরিমানা করা হয়েছে।

শেয়ার কারসাজির জালে সবচেয়ে বড় নাম হলো বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ এবাদুল করিম। তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরাও—মেয়ে, ছেলে, শ্যালক, এমনকি নিকটাত্মীয়রাও।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ মে পর্যন্ত সময়ে, এই শেয়ার কারসাজির তত্ত্বাবধানে ছিলেন মোহাম্মদ এবাদুল করিম। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা একসাথে মিলিত হয়ে জেমিনি সী ফুডের শেয়ার দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটিয়েছিলেন। তাদের এই যোগসাজশের কারণে শেয়ারের দাম ৩৪১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে এক লাফে ৯৩৪ টাকা ৪০ পয়সায় পৌঁছে যায়—যা ১৭৩.৪৬ শতাংশের বিশাল বৃদ্ধি।

এবং এই কারসাজির শিকার শুধু কোম্পানি নয়, বরং শেয়ারবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও। আসল চিত্র উন্মোচিত হওয়ার পর, বিএসইসি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলো। জরিমানা করা হয়েছে মোহাম্মদ এবাদুল করিমকে ১১ লাখ টাকা, তার মেয়ে রিসানা করিমকে ২ কোটি ১২ লাখ টাকা, ছেলে উফাত করিমকে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা, শ্যালক সোহেল আলমকে ১০ লাখ টাকা এবং ফাতেমা সোহেলকে ১১ লাখ টাকা।

অর্থাৎ, মোট ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই শাস্তি শেয়ারবাজারে ন্যায় প্রতিষ্ঠার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এটি নতুন নয়, এর আগেও মোহাম্মদ এবাদুল করিমের বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী শেয়ার কারসাজি অভিযোগ ছিল। খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের শেয়ার কারসাজির দায়ে তার বিরুদ্ধে বিশাল জরিমানা ধার্য হয়েছিল। এখন আবার নতুন করে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারের প্রতি তাদের অবৈধ প্রভাব খাটানোর অভিযোগ প্রমাণিত হলো।

বিএসইসি আশা করে, এই ধরনের ঘটনায় অন্যান্য কারসাজিকারীরা শিক্ষা নিবে এবং শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু লেনদেনের পরিবেশ বজায় থাকবে।

রাজিব/

শেয়ার নিউজ - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ