ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১

উন্মোচিত হলো নতুন সম্ভাবনা:

শত বছরের পুরোনো গাণিতিক সমস্যার সমাধান করলেন তরুণী বিজ্ঞানী

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ২৫ ১২:১০:৪০
শত বছরের পুরোনো গাণিতিক সমস্যার সমাধান করলেন তরুণী বিজ্ঞানী

নিজস্ব প্রতিবেদক: শতাব্দীপ্রাচীন একটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির তরুণী বিজ্ঞানী দিব্যা ত্যাগি। এক শতাব্দী আগে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী হারমান গ্লাউয়ার্টের প্রবর্তিত এরোডাইনামিক সমীকরণের নতুন রূপ প্রকাশ করে তিনি শুধু গাণিতিক জগতকেই নয়, বরং বায়ুশক্তির ভবিষ্যৎকেও নতুন দিগন্তে নিয়ে গেছেন।

১০০ বছরেরও বেশি আগে গ্লাউয়ার্ট একটি সমীকরণ প্রণয়ন করেন, যার মাধ্যমে বায়ুশক্তির সর্বোচ্চ শক্তির ধারণা পাওয়া যায়। তবে তার সমীকরণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক শক্তি, যেমন ডাউনউইন্ড থ্রাস্ট ও রুট বেন্ডিং মোমেন্টের হিসাব ছিল না, যা বাস্তব জগতের টারবাইনের কার্যক্ষমতায় বিপুল প্রভাব ফেলতে পারে। এই সীমাবদ্ধতা আরাধ্য ছিল, তবে এক তরুণী বিজ্ঞানী তার শক্তি আর সৃজনশীলতার দ্বারা সেই সমস্যা সমাধান করেছেন।

দিব্যা ত্যাগি, যিনি পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক পড়ছেন, তার নতুন সমাধানটি গ্লাউয়ার্টের সমীকরণে নতুন জীবন দিয়েছে। তিনি ভেরিয়েশনের ক্যালকুলাসের সাহায্যে একটি আধুনিক কাঠামো তৈরি করেছেন যা টারবাইনের আদর্শ প্রবাহের শর্ত নির্ধারণ করে, এর শক্তি উৎপাদনের সক্ষমতাকে বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। এর মাধ্যমে এখন প্রকৌশলীরা টারবাইনের ব্লেডের কাঠামোগত চাপের হিসাব রেখে, আরও শক্তিশালী এবং কার্যকরী ডিজাইন করতে সক্ষম হবেন।

দিব্যার এই নতুন সমীকরণটি ইতিমধ্যেই “উইন্ড এনার্জি সায়েন্স” সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে, এবং বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের মাঝে তা ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু গাণিতিক এবং তাত্ত্বিক গবেষণার ক্ষেত্রেই নয়, বাস্তব দুনিয়াতেও কার্যকরী প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে বায়ুশক্তির মাধ্যমে শক্তি উৎপাদনে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, এই সমীকরণটি বায়ু টারবাইনের উৎপাদন ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে, ফলে টেকসই শক্তির উৎপাদন ও পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবহারে একটি নতুন যুগের সূচনা হবে।

বর্তমানে দিব্যা ত্যাগি মাস্টার্স পর্যায়ে কম্পিউটেশনাল ফ্লুইড ডায়নামিকস (সিএফডি) নিয়ে গবেষণা করছেন এবং তার ভবিষ্যতের লক্ষ্য বায়ু শক্তি প্রযুক্তির আরও উন্নয়ন ঘটানো। তার এই অসাধারণ আবিষ্কারটি প্রমাণ করেছে, মেধা এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে কোন সমস্যা অগম্য নয়। বিশ্বকে টেকসই শক্তি ব্যবহারের এক নতুন দিগন্ত দেখাতে তিনি আরও একধাপ এগিয়ে গেছেন।

দিব্যার কাজ শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দুনিয়াতেই নয়, আগামী দিনে পৃথিবীকে সবুজ ও শক্তি সাশ্রয়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে, যা আমাদের সবার জন্য আশার নতুন আলো।

রাসেদ/

বিশ্ব - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ