জেনেনিন ইসবগুলের ভুসির স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ব্যবহার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসবগুলের ভুসি, যা সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ব্যবহৃত হয়, একটি প্রাকৃতিক ডায়েটারি ফাইবার। এটি পানি শোষণ করে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। ইসবগুলের ভুসি দুই ধরনের কাজ করতে পারে: কিছু অংশ পানি শোষণ করে, আর কিছু অংশ দ্রবীভূত হয় না। এই ভুসি শরীরে কোনো বিষক্রিয়া তৈরি না করলেও, সঠিকভাবে ব্যবহার করা প্রয়োজন। যেহেতু এটি অন্ত্র থেকে পানি শোষণ করে, তাই পানি বা দুধে মিশিয়ে এটি সঠিক সময়ে খাওয়া উচিত, যাতে তার পূর্ণ কার্যকারিতা বজায় থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে ইসবগুলের ব্যবহার
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে, ১-২ চামচ ইসবগুল ২৪০ মিলিলিটার পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া উচিত। এটি অন্ত্রের ভেতরে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে পায়খানাকে নরম করে, ফলে সহজে বের হতে সাহায্য করে। তবে ইসবগুল খাওয়ার পরিমাণ ব্যক্তির বয়স, ওজন এবং শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে।
ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে ইসবগুলের উপকারিতা
ডায়রিয়ার সমস্যায়, ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে পায়খানা শক্ত হয়ে আসে। দইয়ের প্রোবায়োটিক প্রভাব ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত খাদ্যনালী ক্ষতিসাধন শোধরাতে সাহায্য করে। এই ব্যবস্থায় পায়খানা নরম হওয়ার বদলে শক্ত হয় এবং ডায়রিয়া দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।
হজমের সমস্যা দূর করতে ইসবগুল
দীর্ঘদিন ধরে হজমের সমস্যা থাকলে, প্রতিদিন ২ চামচ ইসবগুল ২৪০ মিলিলিটার পানির সাথে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া উচিত। এটি পাকস্থলী পরিষ্কার রাখে এবং খাদ্যনালীকে টক্সিনমুক্ত করে। ফলে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ সহজে বের হয়ে যায়।
অর্শ্বরোগে ইসবগুলের উপকারিতা
অর্শ্বরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্যও ইসবগুলের ভুসি অত্যন্ত উপকারী। ২ চামচ ইসবগুল কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেলে পায়খানা নরম হয়, ফলে অর্শ্বরোগের কারণে ব্যথা কমে যায় এবং বৃহদন্ত্রে কম চাপ পড়ে।
বুক জ্বালাপোড়া ও গ্যাসের সমস্যায় ইসবগুল
বুক জ্বালাপোড়া বা গ্যাসের সমস্যা থাকলে, ২ চামচ ইসবগুল ১/২ থেকে ১ চামচ ঠান্ডা দুধে মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডের সমস্যা কমে যায়। ইসবগুল পাকস্থলী ও খাদ্যনালীর মাঝে এক ধরনের পর্দা তৈরি করে, যা অ্যাসিড থেকে পর্দা রক্ষা করে এবং বুকের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
ইসবগুল সেবনে সতর্কতা
অতিরিক্ত ইসবগুল সেবনে ক্ষুধামান্দ্য ও ডায়রিয়া হতে পারে, তাই ব্যবহারের পরিমাণে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এছাড়া, ইসবগুল বিভিন্ন ওষুধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে, তাই ওষুধ সেবনের ২ ঘণ্টা আগে বা পরেই ইসবগুল খাওয়া উচিত।
অতীতের মতো ইসবগুলের ভুসি যে কোনো সমস্যার সমাধান নয়, বরং এর সঠিক ব্যবহারে উপকারিতা পাওয়া যায়। তাই, সঠিক নিয়মে ইসবগুল সেবনে সচেতন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরিফ হাসান/
স্বাস্থ্য - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেষ হলো ব্রাজিল বনাম কলম্বিয়ার মধ্যকার ম্যাচ
- শেষ হলো আর্জেন্টিনা বনাম উরুগুয়ের মধ্যকার ম্যাচ
- ব্রাজিল বনাম কলম্বিয়া: হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের পরিসংখ্যান ও সম্ভাব্য একাদশ
- অ্যাম্বুলেন্স চালকের অছিলায় বাঁচলো তামিমের জীবন
- নেশনস লিগ: শেষ হলো ফ্রান্স বনাম ক্রোয়েশিয়ার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ
- সেহরিতে যেসব খাবার আমাদের জন্য উপকার
- উরুগুয়ে বনাম আর্জেন্টিনা: লাইভ স্ট্রিম, টিভি, দলীয় খবর ও সেরা একাদশ
- সেনাসদরের সাফ বক্তব্য: হাসনাতের "রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র" সম্পর্কে স্পষ্টতা
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার (১৯ মার্চ ২০২৫)
- ম্যাচ হারার পর মুস্তাফিজকে নেয়ার বিষয়ে যা বললেন কলকাতার অধিনায়ক রাহানে
- অবশেষে মুখ খুললেন সেনাপ্রধান
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার (২১ মার্চ ২০২৫)
- মুখ দিয়ে ফেনা, ছিল না পালস, মৃত্যুর মুখ থেকে যেভাবে ফিরে এলেন তামিম
- সরকারি চাকুরীজীবিদের সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- সেনাবাহিনীকে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ