ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১

শবে কদরের রাত: নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া

২০২৫ মার্চ ২৩ ১২:৪৩:২০
শবে কদরের রাত: নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাস মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র সময়। এই মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে রয়েছে এক বিশেষ রাত—শবে কদর, যা মর্যাদা ও ক্ষমার রাত হিসেবে পরিচিত। ইসলামে শবে কদর এমন এক রাত, যা হাজার মাসের চেয়েও বেশি বরকতপূর্ণ। তবে, কীভাবে এই রাতটিকে আল্লাহর রহমত লাভের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করা যায়, তা আজকের এই আর্টিকেলে জানবো।

শবে কদরের নামাজের নিয়ম:

শবে কদরের রাতে নির্দিষ্ট কোনো নামাজের নিয়ম নেই, তবে দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করা সবচেয়ে উত্তম। আপনি যতটা সম্ভব মনোযোগসহকারে নামাজ পড়বেন, ততই তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এই রাতের বিশেষ নামাজের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সূরা পড়ার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সূরা কদর এবং সূরা ইখলাস পড়া যেতে পারে।

নিয়ত:

নিয়ত করার মাধ্যমে আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নামাজ পড়ার সংকল্প নিবেন। এই নামাজটি আপনার আত্মবিশুদ্ধি ও আল্লাহর প্রতি নিবেদনের প্রতীক।

আরবি নিয়ত:

"نويتُ أنْ أُصَلِّي لِلَّهِ تَعَالى رَكْعَتَيْنِ صَلَاةً لَيْلَةَ القَدْرِ نَافِلَةً مُتَوَجِّهًا إِلَى جِهَةِ الكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ"

শবে কদরের দোয়া: ক্ষমার রাত

শবে কদরের রাতে বিশেষ এক দোয়া রয়েছে, যা আমাদের পাপ-তাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার সুযোগ দেয়। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে,

"اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي"

অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব, আপনি ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩)

আরও পড়ুন:

সমবয়সী নাকি ছোট মেয়ে বিয়ে করা ভালো? ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে পরামর্শ

লাইলাতুল কদরের ৬টি বিশেষ দোয়া যা আপনাকে এই রাতে অবশ্যই পড়া উচিত

শবে কদর : করণীয় দোয়া ও আমল

এই দোয়া শবে কদরের রাতে আপনার সমস্ত গুনাহ থেকে মুক্তি এবং আল্লাহর মাগফিরাত লাভের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শবে কদরের রাতের গুরুত্ব:

এই রাতটি আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভের এক অনন্য সুযোগ। ইসলামে একাধিক হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, যে ব্যক্তি শবে কদরের রাতে ইবাদত করবে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং ইবাদত করে আপনি এই রাতটিকে আধ্যাত্মিক শান্তি লাভের উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

শবে কদরের রাতে বেশি বেশি নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া এবং তাওবা করার মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভ করতে পারেন। এই রাতটি শুধু ইবাদত করার নয়, বরং নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। তাই রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে যথাযথভাবে ইবাদত করুন এবং আল্লাহর নিকট শিরক থেকে মুক্তি লাভের দোয়া করুন।

আব্দুর রহিম/

ধর্ম - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ