ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

লিবিয়া থেকে স্বদেশে ফিরলেন আরও ১৬১ বাংলাদেশি

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ২০ ১৩:৫৩:২৩
লিবিয়া থেকে স্বদেশে ফিরলেন আরও ১৬১ বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া থেকে আরও ১৬১ বাংলাদেশি স্বপ্নভঙ্গের ক্লান্তি নিয়ে দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইট (ইউজেড২২২) তাদের নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে নেমেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন তারা। একদিকে চেনা আকাশ, অন্যদিকে পরিবারের কাছে ফিরে আসার আনন্দ—সব মিলিয়ে অনুভূতিটা ছিল আবেগঘন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেন।

দূতাবাসের প্রচেষ্টা ও মানবিক সহায়তা

ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, দূতাবাসের নিরলস প্রচেষ্টা ও আইওএমের সহায়তায় বেনগাজী থেকে এসব বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। লিবিয়ার বেনিনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় উড্ডয়ন করা ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টায় ঢাকায় অবতরণ করে।

লিবিয়ায় কর্মসংস্থানের আশায় পাড়ি জমালেও প্রতিকূল পরিস্থিতি ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হতে হয় অনেক বাংলাদেশিকে। যুদ্ধ ও অস্থিরতার কারণে জীবনযাপন কঠিন হয়ে ওঠে। ফলে তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করছে।

আরও বাংলাদেশি ফেরানোর উদ্যোগ

বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, শুধু এই ১৬১ জনই নন, আরও অনেক বাংলাদেশি লিবিয়ায় আটকা পড়ে আছেন। তাদেরও নিরাপদে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আগামী ২৬ মার্চ আরেকটি বিশেষ ফ্লাইটে আনুমানিক ১৬০ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

লিবিয়ায় সংকট ও প্রত্যাবাসনের বাস্তবতা

লিবিয়ার অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মানব পাচারের ঝুঁকি এবং কাজের অনিশ্চয়তা সেখানে থাকা বাংলাদেশিদের জীবনে চরম দুর্ভোগ বয়ে এনেছে। অনেকেই স্বপ্ন নিয়ে পা রেখেছিলেন এই উত্তর আফ্রিকান দেশে, কিন্তু বাস্তবতা ছিল নির্মম। নিরাপত্তাহীনতা, বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে কাজের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়া এবং মানব পাচারের শিকার হওয়ার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তাদেরকে কঠিন এক বাস্তবতার মুখে দাঁড় করিয়েছে।

দেশে ফেরা এসব মানুষ এখন নতুন করে জীবন শুরু করার আশায় রয়েছেন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সহায়তায় তারা যেন সুন্দরভাবে পুনর্বাসিত হতে পারেন, সেটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মো: রাজিব আলী/

প্রবাসী - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ