ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

তারেক রহমানের চোখে জল: হাওয়া ভবনের এক কর্মচারীর ঘটনায় আবেগঘন মুহূর্ত

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ২০ ১৩:০০:২৮
তারেক রহমানের চোখে জল: হাওয়া ভবনের এক কর্মচারীর ঘটনায় আবেগঘন মুহূর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বহু আলোচিত এক ঘটনা ঘটে, যখন বিএনপির হাওয়া ভবনের এক কর্মচারী সংসদ সদস্যের কাছ থেকে মিষ্টি খাওয়ার নাম করে কিছু অর্থ গ্রহণ করেন। কিন্তু ঘটনাটি প্রকাশ্যে এলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এতটাই ব্যথিত হন যে, তিনি অঝোরে কেঁদে ফেলেন।

একটি ছোট ঘটনা, বড় প্রতিক্রিয়া

ঘটনাটি ঘটে বনানীতে বিএনপির কার্যালয়ে। এক কর্মচারী সংসদ সদস্যের কাছ থেকে সামান্য কিছু টাকা গ্রহণ করেন। সাধারণ চোখে এটি হয়তো তুচ্ছ ঘটনা, কিন্তু তারেক রহমানের কাছে এটি ছিল সততার প্রশ্ন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে বিষয়টি ধরা পড়লে, তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ওই সংসদ সদস্যকে ডেকে সতর্ক করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের লেনদেন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান। একইসঙ্গে, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেন।

তারেক রহমানের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া

এই সামান্য অথচ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি তারেক রহমানকে এতটাই ব্যথিত করেছিল যে, তিনি গভীরভাবে মর্মাহত হন এবং তার চোখে জল চলে আসে। পরদিন বনানী কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, "যদি আমাদের দলের কর্মচারীরাই এভাবে অর্থ চায়, তাহলে আমি যে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, তা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে?"

দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনা

এই ঘটনার পর থেকেই বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়। তারেক রহমান দলের প্রতিটি স্তরের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেন, যেন তারা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে সততা ও নৈতিকতার মাপকাঠি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।

এক দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন

২০০৬ সালে বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভ করলে, দলটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তারেক রহমান দলের ছাত্র সংগঠনসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নির্দেশ দেন, যেন তারা সাধারণ মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেয়।

তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন বরাবরই সৎ ও স্বচ্ছ নেতৃত্বের পক্ষে। তিনি বিশ্বাস করেন, শুধু বক্তৃতা নয়, কাজে প্রমাণ দিতে হবে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থান কতটা কঠোর। আজও বিএনপির রাজনৈতিক দর্শনে তার এই নীতিবোধ অন্যতম মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।

এই ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে আছে, যেখানে একজন নেতা সততা ও স্বচ্ছতার প্রশ্নে বিন্দুমাত্র আপস করেননি।

মো: রাজিব আলী/

রাজনীতি - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ