ঢাকা, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

সুখী দেশের তালিকায় মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কারও পেছনে বাংলাদেশ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ২০ ১২:১০:২৭
সুখী দেশের তালিকায় মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কারও পেছনে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর তালিকায় আরও পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ। ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৪৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ১৩৪তম। আগের বছর ১২৯তম স্থানে থাকা বাংলাদেশ এবার আরও পাঁচ ধাপ পিছিয়েছে, যা দেশের নাগরিকদের জীবনমান ও সামগ্রিক সন্তুষ্টির ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক ইঙ্গিত বহন করে।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান বেশ পিছিয়ে। ভারতের অবস্থান ১১৮তম, পাকিস্তান রয়েছে ১০৯তম স্থানে, মিয়ানমার ১২৬তম এবং শ্রীলঙ্কা ১৩৩তম অবস্থানে রয়েছে। নেপাল তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে থেকে ৯২তম স্থান দখল করেছে। এই তালিকা স্পষ্টভাবে দেখায়, বাংলাদেশ শুধু দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গেই নয়, বিশ্ব পরিমণ্ডলেও প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।

ফিনল্যান্ডের শ্রেষ্ঠত্ব অব্যাহত

বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের মুকুট এবারও ধরে রেখেছে ফিনল্যান্ড। টানা অষ্টমবারের মতো এই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটি শীর্ষে রয়েছে। ফিনল্যান্ডের পরই রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, কোস্টা রিকা ও নরওয়ে। উন্নত জীবনমান, সামাজিক নিরাপত্তা এবং নাগরিক স্বাধীনতার উচ্চমাত্রার কারণেই এসব দেশ সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে।

এই তালিকায় ৮ম স্থানে রয়েছে ইসরায়েল, এরপর যথাক্রমে লুক্সেমবার্গ, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, অস্ট্রিয়া, কানাডা এবং স্লোভেনিয়া অবস্থান করছে।

বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশ আফগানিস্তান

প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে তালিকার সর্বশেষ স্থানে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। দ্বিতীয় অসুখী দেশ হিসেবে রয়েছে সিয়েরা লিওন এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে লেবানন। অর্থনৈতিক সংকট, নিরাপত্তাহীনতা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে এসব দেশ নাগরিকদের সুখের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।

সুখের সূচক নির্ধারণের মানদণ্ড

সুখের সূচক তৈরির জন্য গবেষণায় বিভিন্ন দেশ থেকে জনমত সংগ্রহ করা হয়। জরিপে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির মাত্রা, মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, নাগরিক সুবিধা, গড় আয়ু এবং দুর্নীতির হার বিবেচনায় নেওয়া হয়।

গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে বিশ্লেষণমূলক সংস্থা গ্যালাপ এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সলিউশন নেটওয়ার্কের সহযোগিতায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে ক্রমাগত নিম্নমুখী সুখের সূচক দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতিনির্ধারকদের জন্য সতর্কবার্তা হতে পারে। দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এখন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

রাজিব/

জাতীয় - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ