ঢাকা, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

MD. RAZIB ALI

Senior Reporter

টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব নিয়ে বিতর্ক: লিটন দাসের পক্ষে-বিপক্ষে মতামত

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ১৯ ২৩:০৮:২৭
টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব নিয়ে বিতর্ক: লিটন দাসের পক্ষে-বিপক্ষে মতামত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা বেশ তীব্র হচ্ছে। বর্তমান অধিনায়ক লিটন কুমার দাসকে নিয়ে মতভেদ রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, তাকে নয় বরং তাসকিন আহমেদকে নেতৃত্বে আনা উচিত। তবে লিটনের পক্ষে একটি যুক্তি রয়েছে—ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল।

ওই সিরিজে লিটনের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স প্রশ্নবিদ্ধ হলেও তার নেতৃত্বের দক্ষতা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছিল। চাপের মুখেও তিনি পরিকল্পনা অনুযায়ী দল পরিচালনা করেছিলেন, যা বাংলাদেশকে দারুণ এক সিরিজ জয় এনে দেয়। এজন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) টি-টোয়েন্টিতে লিটনের স্থায়ী অধিনায়কত্ব নিয়ে চিন্তা করছে।

শামীম হোসেনকে উপেক্ষা করার সমালোচনা

এই আলোচনার পাশাপাশি এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হলো বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় শামীম হোসেন পাটোয়ারিকে অন্তর্ভুক্ত না করা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন।

প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৩ বলে ২৭ রান করে দলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

দ্বিতীয় ম্যাচে ১৭ বলে ৩৫ রান করেন, যেখানে বাংলাদেশের মোট স্কোর ছিল প্রায় ১৩০। সেই ম্যাচে তিনি ম্যাচসেরা হন।

তৃতীয় ম্যাচে রান আউট হলেও আগের দুই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

এমন পারফরম্যান্সের পরও বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় তার নাম না থাকায় সমালোচনা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, লিটন যদি পারফরম্যান্স ছাড়াই অধিনায়কত্ব ধরে রাখতে পারেন, তাহলে ধারাবাহিকভাবে ভালো করা শামীম কেন উপেক্ষিত থাকবেন?

সাব্বির রহমান ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের প্রসঙ্গ

শুধু শামীমই নন, সাব্বির রহমান এবং তরুণ ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকেও বিসিবির পরিকল্পনায় রাখা হয়নি। সাব্বির এক সময় জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন, তবে এখন বিসিবির কোনো স্কোয়াডের বিবেচনায় আসছেন না। ডিপিএলে পারফরম্যান্স খারাপ হলেও তার প্রতিভা নিয়ে সংশয় নেই।

অন্যদিকে, অঙ্কন একজন সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান, যিনি টেস্টে অভিষেক করেছেন এবং ভবিষ্যতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও ভালো করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বিসিবির সিলেকশন প্যানেল তাকে কোনো পরিকল্পনায় রাখেনি।

সিন্ডিকেট ও নির্বাচকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

বিসিবির নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। বলা হচ্ছে, পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দল নির্বাচন করা হয় না, বরং ব্যক্তি পছন্দ ও সিন্ডিকেট প্রভাবিত করে স্কোয়াড গঠন এবং কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা তৈরি করা হয়।

মুশফিকুর রহিম টানা বাজে পারফরম্যান্সের পরও চুক্তিতে ছিলেন, যদিও পরে তিনি অবসর নিয়েছেন।

নির্বাচকরা জাতীয় লিগ ও প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচগুলো নিয়মিত দেখেন না।

ঢাকার বাইরের ভেন্যুতে ম্যাচ দেখার প্রতি তাদের আগ্রহ কম।

অনেকে মনে করেন, বিসিবি যদি সত্যিকারের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সঠিক মূল্যায়ন করতে না পারে, তাহলে ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে। নির্বাচকদের উচিত সিন্ডিকেট রাজনীতি না করে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দল নির্বাচন করা।

এমন পরিস্থিতিতে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি, স্কোয়াড নির্বাচন এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা, যোগ্য খেলোয়াড়দের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে এবং জাতীয় দলের স্বার্থে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মো: রাজিব আলী/

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ