ঢাকা, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

বিশ্ব শান্তির নতুন মোড়

ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপ

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ১৯ ০৫:০৯:৩২
ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী দুই নেতা—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন—মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এক গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপে অংশ নেন। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ, জ্বালানি সংকট এবং ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে তাদের আলোচনা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

যুদ্ধবিরতির পথে নতুন সম্ভাবনা

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং পুতিন এই প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। ক্রেমলিন জানায়, আগামী ৩০ দিনের জন্য জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর কোনো হামলা চালানো হবে না। পুতিন তাৎক্ষণিকভাবে রুশ সামরিক বাহিনীকে এই নির্দেশ বাস্তবায়নের আদেশ দেন।

শান্তি ও কূটনীতির নতুন দিগন্ত

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প ও পুতিন উভয়ই একমত যে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হওয়া জরুরি এবং এটি দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হওয়া উচিত। আলোচনায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য শর্ত এবং কূটনৈতিক সমঝোতার দিকগুলোও গুরুত্ব পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের ভবিষ্যৎ

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে দুই নেতা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন। হোয়াইট হাউসের মতে, অর্থনৈতিক চুক্তি ও ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাই ছিল এই আলোচনার অন্যতম মূল উদ্দেশ্য। ট্রাম্প ও পুতিনের কথোপকথনে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের নতুন সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতা

এটি ছিল ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার পর পুতিনের সঙ্গে তার দ্বিতীয় ফোনালাপ। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তবে বাস্তবে এই প্রতিশ্রুতি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সৌদি আরবে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কূটনীতিকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইউক্রেনের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। পরবর্তীতে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

বিশ্ব কি শান্তির পথে এগোচ্ছে?

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ বিশ্ব রাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। তবে এই আলোচনার বাস্তবায়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল নির্ভর করবে উভয় পক্ষের কৌশলগত সিদ্ধান্তের ওপর। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন তাকিয়ে রয়েছে—এই আলোচনার মাধ্যমে সত্যিই শান্তির সেতু গড়া সম্ভব হবে কি না।

মো: রাজিব আলী/

বিশ্ব - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ