ঢাকা, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

শামীম ওসমান পরিবারের শেয়ার হস্তান্তরে ভয়াবহ জালিয়াতি

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ১৯ ০০:০১:০৩
শামীম ওসমান পরিবারের শেয়ার হস্তান্তরে ভয়াবহ জালিয়াতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান পরিবারের মালিকানাধীন কে টেলিকমের শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় গাফিলতির পাশাপাশি ভয়াবহ জালিয়াতির অভিযোগে সাড়া পড়েছে দেশজুড়ে। ১২৬ কোটি টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশে শুরু হয়েছে তদন্তের ঝড়।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর নেতৃত্বে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-কে ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এই মামলা শুরু হয় একটি জাতীয় দৈনিকে ১৪ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে, যেখানে বলা হয় যে, কে টেলিকমের শেয়ার অবৈধভাবে অন্যদের নামে হস্তান্তর করে সরকারের পাওনা পরিশোধ এড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, ছোট একটি অফিসের মালিক সাখাওয়াত হোসেন, যিনি ঢাকার ফকিরাপুলে মাত্র ছয় হাজার টাকায় একটি অফিস চালাচ্ছিলেন, তাকে হঠাৎ করেই কে টেলিকমের মালিক হিসেবে পরিচিত করা হয়। কিন্তু সাখাওয়াত দাবি করেছেন যে, তিনি কখনোই এ বিষয়ে জানতেন না এবং তার নাম জালিয়াতি করে মালিকানার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শামীম ওসমানের পরিবারের মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠান ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য কে টেলিকমের লাইসেন্স লাভ করে। এর পর, ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট হঠাৎ করেই কে টেলিকমের মালিকানা সাখাওয়াত, সিলেটের শিক্ষক দেবব্রত চৌধুরী, এবং বগুড়ার এক অফিস সহকারী রাকিবুল ইসলামের নামে হস্তান্তর করা হয়। তবে, এই তিনজনও জানিয়েছে যে, তারা কিছুই জানতেন না এবং তাদের নাম জালিয়াতি করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে, বিটিআরসি এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, এই মালিকানা হস্তান্তরের মাধ্যমে সরকারের পাওনা পরিশোধের জন্য তড়িঘড়ি করে একের পর এক অবৈধ কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, ভুয়া ছবি এবং তথ্য ব্যবহার করে জালিয়াতি করা হয়েছে, আর সরকারি সংস্থাগুলিও এর সাথে সহযোগিতা করেছে।

এই ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সিআইডি এবং বিটিআরসি তদন্ত শুরু করবে এবং ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। জনগণের মধ্যে আশঙ্কা বিরাজ করছে যে, একদিকে যেখানে দেশের বড় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান জালিয়াতির শিকার, সেখানে অন্যদিকে রাজনৈতিক ক্ষমতার জালিয়াতির কোনো সীমা থাকবে না!

মো: রাজিব আলী/

জাতীয় - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ