ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং: তদন্তের অন্ধকারে আলো খুঁজছে বিসিবি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ১৮ ২২:১০:৫৮
বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং: তদন্তের অন্ধকারে আলো খুঁজছে বিসিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দেশের ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট। তবে এবার সেই জনপ্রিয়তার ছায়ায় পড়েছে এক কালো দাগ—ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। ফিক্সিং বিতর্ক শুধু টুর্নামেন্টের সুনামই ক্ষুণ্ণ করেনি, বরং দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তিতেও ফেলেছে গভীর প্রভাব। এই অভিযোগের সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গঠন করেছে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটি: ন্যায়বিচারের সন্ধানে

তিন সদস্যের এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মির্জা হুসেইন হায়দার। তার সঙ্গে রয়েছেন বিসিবির সাবেক গেম ডেভেলপমেন্ট প্রধান শাকিল কাসেম এবং আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ড. খালেদ এইচ. চৌধুরী। তাদের দায়িত্ব—তদন্তের মাধ্যমে ফিক্সিংয়ের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে বের করা এবং সুষ্ঠু সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।

তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে বিপিএলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। ড. খালেদ এইচ. চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, "এটি এক বিশাল দায়িত্ব। আমরা একে একে সংশ্লিষ্ট সকলের বক্তব্য শুনছি এবং তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করছি। সময় লাগলেও আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এটি যেন অর্থবহ হয়। শিগগিরই বিসিবি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আপডেট দেবে।"

সন্দেহের তালিকা: কোন ম্যাচ ও কারা তদন্তের আওতায়?

বিসিবির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট (আকু) ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সন্দেহে বিপিএলের আটটি ম্যাচকে চিহ্নিত করেছে। একইসঙ্গে, ১০ জন খেলোয়াড় এবং চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

তদন্তাধীন খেলোয়াড়দের মধ্যে ছয়জন জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন, দুইজন এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেননি এবং বাকি দুইজন বিদেশি তারকা। এ ছাড়াও, বিসিবি নজরদারি করছে চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির ওপর, যাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সতর্কবার্তা পেয়েছে দুর্বার রাজশাহী ও ঢাকা ক্যাপিটালস (প্রতিটিই ১২টি সতর্কবার্তা)। সিলেট স্ট্রাইকার্স ছয়টি ও চিটাগং কিংস দুটি সতর্কবার্তা পেয়েছে।

বিসিবির পরবর্তী পদক্ষেপ

তদন্ত শেষ হওয়ার পর বিসিবি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত। যারা দোষী প্রমাণিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির সুপারিশ করা হবে। ক্রিকেটের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিসিবি যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে।

ক্রিকেটপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে—এই তদন্তের পর বিপিএলের গায়ে লাগা কালি কতটা মুছতে পারবে বিসিবি? নাকি আরও কোনো চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসবে? সময়ই দেবে উত্তর।

রাজিব/

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ