ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

নতুন নীতিমালা জারি: ২০২৫ সালে ১০ ব্যাংকের ডিভিডেন্ড নিয়ে শঙ্কা

২০২৫ মার্চ ১৮ ১৩:৩১:২৪
নতুন নীতিমালা জারি: ২০২৫ সালে ১০ ব্যাংকের ডিভিডেন্ড নিয়ে শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫ সালে শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর ডিভিডেন্ড বিতরণ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক নতুন উদ্বেগ। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি একটি নতুন নীতিমালা জারি করেছে, যার ফলে দেশের কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার যদি ১০ শতাংশের বেশি হয়, তবে সেই ব্যাংক আর ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে পারবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতিমালা: কী কী শর্ত?

নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো তাদের পঞ্জিকাবর্ষের মুনাফা থেকে শুধুমাত্র ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে পারবে, এবং কোনোভাবেই পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে ডিভিডেন্ড দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি, ব্যাংকের ঋণের শ্রেণীকরণ হার যদি ১০ শতাংশের বেশি হয় বা তাদের কোনো ধরনের সংস্থান ঘাটতি থাকে, তবে তারা ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে না।

কেন ব্যাংকগুলোর জন্য এ নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ?

এ নীতিমালার প্রধান উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে, যে ব্যাংকগুলো উচ্চ খেলাপি ঋণের সম্মুখীন, তাদের উপর আর্থিক চাপ বেড়ে যেতে পারে। গুগলের অনুসন্ধান কিওয়ার্ড অনুযায়ী, এই নতুন নীতিমালা পাঠকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেটি ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে অংশগ্রহণ এবং শেয়ারহোল্ডারদের রিটার্নের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

১০টি ব্যাংক যাদের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি

বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কিছু ব্যাংক খেলাপি ঋণের উচ্চ হার নিয়ে সমস্যায় রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ন্যাশনাল ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, রূপালি ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোকে নতুন নীতিমালার কারণে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে হলে তাদের আর্থিক অবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে।

২০২৪ সালের জন্য ডিফারেল সুবিধা বাতিল

২০২৪ সালের জন্য ডেফারেল সুবিধা গ্রহণকারী ব্যাংকগুলো কোনো ধরনের ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে পারবে না। ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুযোগটি বাতিল করা হয়েছে, যা ডেফারেল সুবিধা গ্রহণকারী ব্যাংকগুলোর জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।

ব্যাংকগুলো কীভাবে উপকৃত হতে পারে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নীতিমালা ব্যাংকগুলোকে তাদের ব্যালেন্স শিট শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। ফলে, ব্যাংকগুলো বেশি মনোযোগী হবে তাদের আমানতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, যার ফলে শেয়ারহোল্ডারদেরও দীর্ঘমেয়াদী লাভ হতে পারে।

নতুন এই নীতিমালার ফলে দেশের ব্যাংক খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে, এবং এটি শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ উন্মোচন করবে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো যদি এই নীতিমালা অনুসরণ করে তাদের আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়, তবে তা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

রাজিব/

শেয়ার নিউজ - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ