আওয়ামী লীগের পতনের কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক সময়ের আওয়ামী লীগের অগ্রগামী নেতা এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, আজকের দিনে বিএনপির একজন শক্তিশালী উপদেষ্টা। তবে, তার জীবনযাত্রার পরিবর্তনের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক অন্দরের এক তীব্র লড়াই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে যে গুরুতর সংকট ও দুরবস্থা, তার কারণ একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে, কিন্তু এবার ফজলুর রহমান নিজেই তার অভিজ্ঞতা থেকে উন্মোচন করলেন দলের অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলোর ভেতরকার রহস্য।
ফজলুর রহমান সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন, “শেখ হাসিনা অত্যন্ত দাম্ভিক এবং অহংকারী, তিনি চাটুকারিতা পছন্দ করতেন এবং শুধুমাত্র কান কথা শুনতেন। নিজের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের স্বার্থে তিনি অপরাধী, মাফিয়া, গডফাদার এবং দুর্নীতিবাজদের দলের অংশ বানিয়ে নিতেন। তার কারণে আজ এই পরিস্থিতি, যেখানে আওয়ামী লীগ নিজের ভিতরে বিতর্কিত, অযোগ্য নেতাদের সঙ্গ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত।”
আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা:
১৯৮১ সালের ১৭ মে দিল্লি থেকে দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা, তার আগমনের সঙ্গে দেশজুড়ে শুরু হয় এক নতুন রাজনৈতিক অঙ্গন। তখনই ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনে তাকে নির্বাচিত করা হয় আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে। তবে, শাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি ধীরে ধীরে দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের পাশে না দাঁড়িয়ে, তাদের দূরে সরিয়ে রেখে নতুন রাজনৈতিক সঙ্গী খুঁজতে থাকেন।
প্রবীণদের প্রতি কঠোরতার কাল:
বাংলাদেশের রাজনীতিতে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এক প্রভাবশালী নাম ছিল ড. কামাল হোসেন, যিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন। তাকে শেখ হাসিনা দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেন ১৯৯১ সালের পর, এবং এর সাথে যোগ হয় আরও অনেক প্রবীণ নেতার দলত্যাগ। বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের মতো নেতাও এই কঠোর সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে আজকে বিএনপির দলে যোগ দেন। তার মতে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্রমেই নিজের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বর্তমান সংকটের চিত্র:
ফজলুর রহমানের ভাষ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের দুরবস্থার মূল কারণ শেখ হাসিনার স্বজনপ্রীতি এবং বিতর্কিত, অপরাধী চক্রের অন্তর্ভুক্তি। এমন নেতাদের দলে ভেড়ানোই দলটির জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক শক্তির ক্ষতিসাধন করেছে, যা আজকের দিনেও প্রতিফলিত হচ্ছে। একদিকে দলের ঐতিহ্যবাহী নেতাদের বহিষ্কার, অন্যদিকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব—এই দ্বন্দ্বের শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগ।
এই পরিস্থিতি কিছুটা মেঘের মতো আকাশে ছেয়ে গেছে, যে মেঘের ওপর ছায়া ফেলেছে দলটির ভবিষ্যৎ। ফজলুর রহমান মনে করেন, দলের সাংগঠনিক শক্তি পুনঃস্থাপন করতে হলে, শেখ হাসিনাকে তার পন্থা পরিবর্তন করতে হবে এবং তার স্বজনপ্রীতির রাজনৈতিক ধারাকে ছিন্ন করতে হবে।
এখন প্রশ্ন একটাই: আওয়ামী লীগ কি তার ঐতিহ্য ও শক্তি ফিরে পাবে, নাকি এই সংকটের আরও গভীরে চলে যাবে?
মো: রাসেল/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অলস টাকা আর নয়! শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর দিল বিএসইসি
- পুঁজিবাজার সংকটে সরকার নিচ্ছে দ্রুত পদক্ষেপ: ৪ মূল সমস্যা চিহ্নিত
- গাজার মতো হামলার হুমকি বাংলাদেশকে! মুখ খুললো ভারতীয় মিডিয়া
- চীনের সহায়তায় পাঁচ জেলায় স্বাস্থ্য বিপ্লব: আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে
- শেয়ারবাজারে বড় পরিবর্তনের আভাস! বৈঠকে বসছে সরকার ও শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠান
- পুঁজিবাজার সংকটে সরকারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট, ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে বিনিয়োগকারীরা
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- শেখ হাসিনার ৮ মিনিটের ভিডিও বার্তা: ইতিহাস, শিল্প ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
- আগামী দিনে বিশ্ব ক্রিকেটে দাপট দেখাবে যে পাঁচ ক্রিকেটার
- চট্টগ্রাম-১১ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা: বাবা-ছেলের লড়াই!
- রিয়াল মাদ্রিদ বনাম আর্সেনাল কোয়ার্টার ফাইনাল স্কোর আপডেট
- Real Madrid vs. Arsenal: একাদশ, পরিসংখ্যান ও ম্যাচ প্রেডিকশন
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ ও স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা
- ৫৪ বছরেই শেষ! আত্মহত্যা করলেন জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা নিকি ক্যাট
- বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের দোরগোড়ায় বাংলাদেশ, সামনে সহজ সমীকরণ