উর্দু ভাষায় সালাহউদ্দিন ও মামুনুলের আলাপের ভিডিও ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক টুকরো আলোচনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছে। আলোচনার ভাষা উর্দু, আর আলোচনাকারী দু’জন—বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ এবং হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে চর্চা, সমালোচনা আর বিতর্ক। মূল আলোচনার চেয়েও উর্দু ভাষার ব্যবহার ঘিরেই যেন বেশি প্রশ্ন উঠছে।
ভিডিওর পটভূমি: এক সন্ধ্যার আড্ডা নাকি কিছু বেশি?
ভিডিওতে দেখা যায়, ধর্মীয় বক্তা কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচি নিয়ে কথা বলছেন। তার সঙ্গে আছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ, মামুনুল হক এবং আরও কয়েকজন। আলোচনায় কাজী ইব্রাহিম বলেন, “৫ মে যখন গণহত্যা চলছিল, তখন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। স্টেজ থেকে নামা শেষ ব্যক্তি ছিলাম আমি। তারপর মাওলানা সাইদুর রহমান আমাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে আসেন।” এরপর মামুনুল হক কিছু মন্তব্য করেন, তবে তা স্পষ্টভাবে শোনা যায়নি।
আলোচনার এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ উর্দু ভাষায় কিছু কথা বলেন, যা ভিডিওতে আংশিক শোনা যায়। এর পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানা ব্যাখ্যা উঠে আসছে।
উর্দু ভাষার ব্যবহার: ভাষা না ভাবধারা?
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর উর্দু ভাষার ব্যবহার নিয়ে তুমুল প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কারও মতে, এটি পাকিস্তানঘেঁষা মানসিকতার প্রতিফলন, আবার অনেকে মনে করেন, এটি নিছকই একটি সাধারণ আড্ডার অংশ।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এ বিষয়ে বলেন, “এটি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ আড্ডা ছিল, যেখানে নানা ভাষায় কথা বলা হয়েছে। রাজনৈতিক কোনো অভিপ্রায় এতে ছিল না।” একইভাবে, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা মাদ্রাসায় ইফতারের দাওয়াতে গিয়েছিলাম, সেখানেই বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা হচ্ছিল। এটি কেবলমাত্র একটি ব্যক্তিগত আলাপ ছিল।”
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া: বিতর্কের ঢেউ
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একপক্ষ মনে করছে, উর্দু ভাষার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত, অন্যপক্ষ মনে করে, ভাষা ব্যবহারের স্বাধীনতা থাকা উচিত এবং এটি নিয়ে এত বিতর্কের প্রয়োজন নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, “একটি সাধারণ আলাপকে রাজনৈতিক রঙ দিয়ে দেখা কতটা যৌক্তিক, সেটি ভাবার বিষয়।” তাদের মতে, ভাষার ব্যবহার বিতর্কের জন্ম দিতে পারে, তবে সেটি কি সত্যিই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তা যাচাই করা উচিত।
সালাহউদ্দিন আহমদ ও মামুনুল হক উভয়ই ভিডিওটিকে একটি সাধারণ আড্ডার অংশ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া যা দেখা যাচ্ছে, তাতে বিতর্ক সহজে থামার নয়। ভাষা কি শুধু ভাব প্রকাশের মাধ্যম, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে থাকে আরও গভীর রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বার্তা—এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আব্দুল কাদের/
রাজনীতি - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আছিয়ার শেষ স্বীকারোক্তি: আছিয়া নিজে বলে গেছে ধ/র্ষণ করেছে কে (ভিডিওসহ)
- আ.লীগকে ৭৫% মানুষ সমর্থন করছে জাতিসংঘের জরিপ, জানা গেল সত্যতা
- শেয়ারবাজারে কারসাজি: বিএসইসি'র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে সামনে এলো গুরুত্বপূর্ণ নাম
- আইপিএলে তাসকিনকে দলে নিবে কি না জানিয়ে দিলো লখনৌ
- আছিয়ার ধ/র্ষক দুলাভাই কে নিয়ে তথ্য দিলেন তার শ্রেণী শিক্ষক মাহফুজ
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার (১৩ মার্চ ২০২৫)
- মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)
- শিশু আছিয়া ধ/র্ষণ ও হ/ত্যা মামলার প্রধান আসামী হিটু শেখের আদালতে স্বীকারোক্তি
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা নিয়ে ট্রাম্পের পোস্ট জানা গেল সত্যতা
- দুই কোটি নয় মুস্তাফিজকে দলে নিতে কলকাতাকে গুনতে হবে ৬.৫ কোটি রুপি
- মুস্তাফিজ নাকি তাসকিন আইপিএল খেলার জন্য কাকে এনওসি দিবে বিসিবি
- দ্য হান্ড্রেডে বাংলাদেশের ২৯ ক্রিকেটার শেষ হলো নিলাম
- বাংলাদেশে জনপ্রতি ফিতরার হার ঘোষণা
- বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত: শেয়ারবাজারে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ৬ সংকটাপন্ন ব্যাংক