ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

লন্ডনে সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনেই সরে গেলেন টিউলিপ সিদ্দিক

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ১৪ ১৬:৩৩:০৮
লন্ডনে সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনেই সরে গেলেন টিউলিপ সিদ্দিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: লন্ডনের রাজপথে এক বিস্ময়কর মুহূর্তের সাক্ষী হলো বিশ্ব—বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক স্কাই নিউজের সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনে কোনো উত্তর না দিয়ে তড়িঘড়ি স্থান ত্যাগ করলেন। মুহূর্তের মধ্যে এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা।

প্রশ্নের মুখোমুখি টিউলিপ, কিন্তু উত্তরহীন

স্কাই নিউজের এক সাংবাদিক লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিকের বাসার সামনে উপস্থিত হয়ে তাকে দুটি জ্বলন্ত প্রশ্ন করেন। প্রথমটি ছিল, “শেখ হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আপনার উদ্বেগ কী?” এবং দ্বিতীয়টি, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের পর কি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে?”

কিন্তু এই প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক এক মুহূর্তও অপেক্ষা না করে দ্রুত গাড়ির দিকে হাঁটতে থাকেন। কেবলমাত্র একবার "গুড মর্নিং" বলে সৌজন্য প্রকাশ করলেও, তিনি পুরোপুরি সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তার এই আচরণ মুহূর্তেই রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

নীরবতা কি সংকেত দিচ্ছে?

টিউলিপ সিদ্দিক এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি, তবে অতীতে তিনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। এবারও তার এই নিরবতা নতুন প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, তিনি হয়তো ইস্যুটি এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন, এটি কৌশলগত নীরবতা।

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও বাংলাদেশের কঠোর অবস্থান

বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তার সম্পত্তি জব্দের আদেশ ও বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা। তবে তিনি এ ঘটনাকে সরাসরি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক চাপের মাধ্যমে দোষীদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপের ফলে টিউলিপ সিদ্দিকের জন্য পরিস্থিতি আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে।

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে?

বিশ্লেষক ইশতিয়াক হোসেন মনে করছেন, এই ঘটনাটি শুধুমাত্র টিউলিপ সিদ্দিকের নয়, বরং যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতেও নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে তার অবস্থান কী, তা নিয়ে ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলেও আলোচনা শুরু হতে পারে।

একটি মাত্র মুহূর্ত, একটি প্রশ্ন, এবং একটি নীরব প্রতিক্রিয়া—এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের রাজনীতির মোড় কোনদিকে ঘুরবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

কামাল/

রাজনীতি - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ