
MD. RAZIB ALI
Senior Reporter
প্রাথমিক শিক্ষকদের বড় সুখবর দিলেন আপিল বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত এসেছে, যখন আপিল বিভাগ তাদের গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা দেওয়ার রায় দেয়ার মাধ্যমে তারা দীর্ঘদিনের একটি প্রাপ্য মর্যাদার অধিকার অর্জন করেছে।
এটি একটি বড় ধরনের আইনি জয়ে পরিণত হয়েছে, যা দেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা এবং সন্মান নিয়ে এসেছে। ১৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের এই রায় তাদের বেতন কাঠামো এবং মর্যাদার বিষয়টি পুনরায় শুদ্ধ করেছে।
আপিল বিভাগ কেন এই রায় দিলো?
এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি লড়াইয়ের ফল, যেখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল এবং পদমর্যাদা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দাবি করা হচ্ছিল। এর আগে, ২০১৪ সালে সরকার তাদের ২য় শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করলেও বেতন স্কেল ছিল ১১ ও ১২তম গ্রেডে। কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব সরকারি কর্মকর্তা জাতীয় বেতন কাঠামোর ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছিলেন। এই বৈষম্য সমাধানে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে, আপিল বিভাগ এটি কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছে।
শিক্ষকদের জন্য কী পরিবর্তন আসছে?
এই রায়ের মাধ্যমে শিক্ষকদের নতুন সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে এবং তাদের সামাজিক ও পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এখন থেকে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা শুধুমাত্র গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা পাবেন না, বরং তাদের বেতন স্কেলও ১০ম গ্রেডে উন্নীত হবে। এই পরিবর্তন শিক্ষকদের জন্য একটি বড় স্বীকৃতি, যা তাদের দৈনন্দিন কাজের মূল্যায়ন করবে।
আইনি লড়াইয়ের পটভূমি
গত বছরের মার্চে, বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ৪৫ জন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। তাদের দাবি ছিল, সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে তারা যেহেতু দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা পেয়েছেন, তাদের বেতন স্কেলও সে অনুযায়ী ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ করা হোক। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর, আদালত তাদের দাবিকে সঠিক মনে করে এই রায় দেন।
শিক্ষা খাতের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন
এটি বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এখন প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা ও সুবিধা নিশ্চিত হলে, তা শিক্ষার খাতে আরও উৎসাহ সৃষ্টি করবে। আগামীতে তারা আরও ভালোভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন এবং শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা দিতে পারবেন।
এই রায়ের প্রভাব
এই রায়ের ফলে বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আত্মবিশ্বাস এবং তাদের কাজের প্রতি নিষ্ঠা বৃদ্ধি পাবে। দেশের শিক্ষায় এই নতুন পরিবর্তন সারা দেশব্যাপী একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে এবং বিশেষভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য এই রায়টি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এটি শুধু তাদের মর্যাদা ও বেতন কাঠামোর পরিবর্তন নয়, বরং তাদের কাজের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশব্যাপী শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি বড় ধাপ।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল বিএসইসি
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- সিলেটে ক্রিকেট মাঠে শোকের ছায়া: বিসিবি কর্মকর্তার অকাল মৃত্যু
- বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য তালিকা
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- শ্রীলঙ্কার ‘না’ বলে দেওয়া, ভারতের সেতু স্বপ্ন স্থগিত