ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

MD. RAZIB ALI

Senior Reporter

ভারতের ক্রিকেট মহলো শোকের ছায়া

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ১৩ ১১:১০:১১
ভারতের ক্রিকেট মহলো শোকের ছায়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতীয় ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল তারকা, প্রাক্তন টেস্ট বোলার এবং ফিল্ডিং কিংবদন্তি অবিদ আলী (Abid Ali) ৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন। তার মৃত্যুর খবর শোকের ছায়া ফেলেছে ক্রিকেট মহলে। তিনি তার ক্যারিয়ারে একাধিক সাফল্যের সাক্ষী ছিলেন, তবে তার ফিল্ডিং দক্ষতা, ফিটনেস এবং মিডিয়াম পেস বোলিং ছিল ক্রিকেট বিশ্বে বিশেষভাবে স্মরণীয়।

১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক জয়ে সঙ্গী অভিজ্ঞান রান

অবিদ আলী ভারতের ইতিহাসে অন্যতম উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত তৈরি করেছিলেন ১৯৭১ সালের ইংল্যান্ড সফরে, যেখানে ভারত প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডে সিরিজ জয় অর্জন করে। অ্‌ওভালে ঐ ম্যাচে ব্যাট হাতে তিনি জয়ী রান করেছিলেন, যা ছিল ভারতের ইংল্যান্ডে প্রথম সিরিজ জয়। তার ঐ রানটি এসেছিল একটি স্কয়ার কাট থেকে, যেটি মাঠে উপস্থিত উদযাপনকারী সমর্থকদের দ্বারা মুহূর্তে গ্রাস করা হয়েছিল।

টেস্ট ক্রিকেটে অসাধারণ বোলিং এবং ব্যাটিং

অবিদ আলী তার ২৯টি টেস্ট ম্যাচে মোট ৪৭টি উইকেট নিয়েছিলেন। তার অভিষেক ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে তিনি নিয়েছিলেন ৬ উইকেট (৬০.৫৫), যা ছিল তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। ব্যাটিংয়ের দিক থেকেও তিনি ছিলেন দক্ষ, সিডনিতে তার দুটি ফিফটি ছিল ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয়। এছাড়া, তার ব্যাটিং গড় ছিল ২০.৩৬, যেখানে তিনি ২১টি ইনিংসে ওপেনিং করেছিলেন।

ফিটনেস এবং ফিল্ডিংয়ের জন্য এক বিশেষ চিহ্ন

অবিদ আলী ছিলেন ফিটনেসের প্রতিকৃতির মতো। তার স্প্রিন্টিং স্কিল, ম্যারাথন দৌড়ানোর শক্তি, এবং দ্রুত রান নেওয়ার কৌশল তাকে মাঠে এক অসাধারণ ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। তার ফিল্ডিং দক্ষতা ছিল অতুলনীয়, এবং মাঠে তার শারীরিক পরিশ্রম ও ট্রেনিং ছিল অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা।

কোচিং ক্যারিয়ার এবং উত্তরাধিকার

অবিদ আলী তার খেলোয়ার জীবনের পর কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি অন্ধ্র দলের রঞ্জি ট্রফি দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালদ্বীপ ক্রিকেট দলেও কোচিং করেছেন। তার অবদান ক্রিকেটের বিভিন্ন স্তরে ছিল অমূল্য।

মৃত্যু ও শোক

অবিদ আলী ১৯৭৪ সালে শেষ টেস্ট ম্যাচ এবং ১৯৭৫ সালে শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। দীর্ঘ ২০টি মৌসুমে তিনি হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট দলের হয়ে খেলে ৪১২ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। পরবর্তীতে, তিনি তার পরিবার নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়াতে বসবাস করছিলেন, যেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ভারতীয় ক্রিকেটে তার অবদান অমূল্য, এবং তার অসামান্য বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিং দক্ষতা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার ফিটনেস এবং খেলার প্রতি নিষ্ঠা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একটি প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। অভিজ্ঞান ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ক্রিকেটের প্রতি তার প্রেম চিরকাল জীবিত থাকবে।

মো: রাজিব আলী/

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ