তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে নতুন তথ্য দিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত নাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি নেতাকর্মীদের অনেকেই আশা করেছিলেন, তিনি শিগগিরই দেশে ফিরবেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সাত মাস অতিক্রান্ত হলেও তার দেশে ফেরার বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। দলটির নেতাকর্মীদের মাঝেও এ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ বিষয়ে জানান, ‘তিনি যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন। সব কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ একই ধরনের মত দিয়েছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে তিনি যথাযথ সময়েই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।’
বিএনপির দাবি অনুযায়ী, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১,৪৫,০০০ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিএনপি নেতা জানান, ‘তারেক রহমান শুধু নিজের মামলা নিয়েই চিন্তিত নন, বরং বিএনপির নেতাকর্মী ও সমমনা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোরও নিষ্পত্তি চান।’
বিগত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি মামলায় খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান। অর্থপাচার মামলা থেকে ৬ মার্চ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তিনি অব্যাহতি পান। এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও ১৫ জানুয়ারি আদালতের রায়ে খালাস পান।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায়ও ১ ডিসেম্বর তিনি খালাস পেয়েছেন। এ মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে সর্বোচ্চ আদালত পরবর্তীতে তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করেন।
তবে এখনো সম্পদের তথ্য গোপনের একটি মামলার সাজা বহাল রয়েছে। ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং তাঁর স্ত্রীকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলা বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন। বিএনপির আইনজীবী নেতাদের মতে, এই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা কম।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা মনে করেন, যেহেতু তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাই দেশে ফিরলে তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং আদালতে হাজির হয়ে সাজা ভোগ করতে হতে পারে। আইনি জটিলতার কারণেই সম্ভবত তিনি দেশে ফেরার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি।
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা বাকি মামলাগুলো আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে।
২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। তবে যতদিন পর্যন্ত আইনি বাধাগুলো দূর না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত তাঁর দেশে ফেরা অনিশ্চিতই থেকে যাবে।
রাজনীতি - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বিসিবির নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ ৫ জন
- প্যারোলে মুক্তি পেল আওয়ামী লীগ নেতা
- আ.লীগকে ৭৫% মানুষ সমর্থন করছে জাতিসংঘের জরিপ, জানা গেল সত্যতা
- নির্বাচনী আসন ভাগাভাগি করলো এনসিপির প্রার্থীরা
- মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন নাম দিল আইসিসি
- নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার
- বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- শান্ত বাদ, তবে নতুন অধিনায়ক মিরাজ নয়
- স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কার: ২৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সরাসরি জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনা ও মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের তুলসীর বৈঠক নিয়ে যা জানা গেল
- দুই আসন থেকে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম
- আজ বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার