আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনে গিয়ে হাসনাতের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৮ই মার্চ, আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এক জমকালো ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশবরেণ্য ইসলামিক বক্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এই মাহফিলটি ছিল শুধু রমজানের পবিত্রতার মধ্যে এক মিলনমেলা নয়, বরং এটি এক অভিপ্রেত বার্তা ছিল ইসলামিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতার।
হাসনাত আব্দুল্লাহ তার বক্তব্যে প্রথমে শুরুর দিকে, আল্লামা সাঈদীর প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, "পবিত্র রমজান মাসে আপনাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ক্ষমতার কাছে থাকা মানুষদের সঙ্গে কথা বলা সহজ হলেও, যাদের সঙ্গে সম্পর্ক শ্রদ্ধার, তাদের সঙ্গে কথা বলতে এক ধরনের সংকোচ কাজ করে।"
তিনি আরও বলেন, "আপনারা যারা গত দেড় দশক ধরে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কিন্তু কখনো আপোষ করেননি, আপনারা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আমরা আপনাদের কাছ থেকে শিখেছি কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয় এবং কিভাবে আখেরাতকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে হয়।" এই বক্তব্যে তিনি সেই সব নির্যাতিতদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন, যারা সাহসীভাবে ইসলামের পথে চলতে গিয়েছেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন, "আমরা যেন এমন কিছু না করি, যাতে ইসলামের সৌন্দর্য ক্ষুণ্ণ হয় কিংবা ইসলামকে হেয় করা হয়। ইসলামকে বিশ্ব দরবারে সম্মানিত রাখতে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।" তার এই বক্তব্য ছিল ইসলামি মূল্যবোধের প্রতিকূলে কাজ করা সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী প্রতিবাদ।
তিনি আরও যোগ করেন, "বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য যে ষড়যন্ত্র চলছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা জরুরি। কিছু মানুষের প্রচেষ্টা আমাদের দেশকে সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দিতে চায়, তবে আমরা প্রমাণ করেছি, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ৫ই আগস্টের পর বাংলাদেশে কোনো ধর্মীয় সহিংসতা হয়নি, এবং যা কিছু ভারতীয় মিডিয়ায় দেখানো হয়েছিল, তা ছিল শুধুমাত্র এক অপপ্রচার।"
অবশেষে, হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "আমরা জানি, আমাদের দেশে নানা মতের এবং পথের মানুষ থাকবে। তবে আমাদের লক্ষ্য হলো, সবার মতামতকে সম্মান দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গঠন করা, যেখানে কোন ভেদাভেদ থাকবে না।" তিনি সবাইকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আমরা একসাথে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে, দেশটিকে শান্তিপূর্ণ এবং শক্তিশালী করতে চাই, যাতে কেউ আমাদের দেশের নিরাপত্তা বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে না পারে।"
হাসনাত আব্দুল্লাহর এই বক্তব্য ছিল এক সাহসী ও দৃঢ় আহ্বান, যাতে দেশের মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি ও ইসলামের প্রতি অটুট বিশ্বাস বজায় রাখা সম্ভব হয়।
করিম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অলস টাকা আর নয়! শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর দিল বিএসইসি
- পুঁজিবাজার সংকটে সরকার নিচ্ছে দ্রুত পদক্ষেপ: ৪ মূল সমস্যা চিহ্নিত
- গাজার মতো হামলার হুমকি বাংলাদেশকে! মুখ খুললো ভারতীয় মিডিয়া
- চীনের সহায়তায় পাঁচ জেলায় স্বাস্থ্য বিপ্লব: আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে
- শেয়ারবাজারে বড় পরিবর্তনের আভাস! বৈঠকে বসছে সরকার ও শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠান
- পুঁজিবাজার সংকটে সরকারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট, ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে বিনিয়োগকারীরা
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- শেখ হাসিনার ৮ মিনিটের ভিডিও বার্তা: ইতিহাস, শিল্প ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
- আগামী দিনে বিশ্ব ক্রিকেটে দাপট দেখাবে যে পাঁচ ক্রিকেটার
- চট্টগ্রাম-১১ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা: বাবা-ছেলের লড়াই!
- রিয়াল মাদ্রিদ বনাম আর্সেনাল কোয়ার্টার ফাইনাল স্কোর আপডেট
- Real Madrid vs. Arsenal: একাদশ, পরিসংখ্যান ও ম্যাচ প্রেডিকশন
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ ও স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা
- ৫৪ বছরেই শেষ! আত্মহত্যা করলেন জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা নিকি ক্যাট
- বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের দোরগোড়ায় বাংলাদেশ, সামনে সহজ সমীকরণ