শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক দুটি ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৯ মার্চ, রোববার, দেশের শেয়ারবাজারে ঘটল দুটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। একদিকে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কর্মকর্তাদের ওপর ‘চোখ রাঙানি’ দিয়ে তাদের অফিসে বসানোর একটি অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আজ ‘হল্টেডহীন দিন’ অতিবাহিত করেছে, যেখানে কোনো প্রতিষ্ঠানই বিক্রেতা সংকটে পড়েনি।
বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চোখ রাঙানি:
বিনিয়োগকারীরা আজ শেয়ারবাজারের একটি অস্বাভাবিক দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছেন, যেখানে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তাদের কর্মকর্তাদের অফিসে কাজ করতে বাধ্য করেছে। এর পেছনে রয়েছে বর্তমান কমিশনের বিরুদ্ধে চলমান বিরোধিতার এক অদৃশ্য প্রভাব। বাজারের অন্তত ৯৫ শতাংশ বিনিয়োগকারী মনে করেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কার্যক্রমে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান কমিশন, বিশেষ করে রাশেদ মাকসুদ কমিশন। যদিও কমিশনের ওপর এই বিরোধিতা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে, তবুও কেন তারা নিজেদের পদত্যাগ করছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন:
বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
শেয়ারবাজারে সূচক পতন ও লেনদেনে ধস
বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসনের মতই, বর্তমান সরকার এবং কমিশন শেয়ারবাজারের ওপর শক্ত হাত ফেলতে চায়, বিনিয়োগকারীদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে তাদের মতামতকে একেবারে অবজ্ঞা করছে।” এমন পরিস্থিতিতে, শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি দিন দিন আরও নাজুক হয়ে উঠছে এবং এ ধরনের ঘটনা ইতিহাসে কখনো দেখা যায়নি।
ডিএসইতে ‘হল্টেডহীন দিন’:
অন্যদিকে, ডিএসইতে আজকের দিনটি একেবারে অন্য রকম ছিল। সাধারণত, শেয়ারবাজারে পতনের সময়ে কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠান বিক্রেতা সংকটে পড়ে ‘হল্টেড’ হয়ে থাকে, কিন্তু আজ তার কোনো নজির ছিল না। শেয়ারবাজারের দাম বৃদ্ধির তালিকায় একটি প্রতিষ্ঠানও বিক্রেতা সংকটে পড়ে ‘হল্টেড’ হয়নি, যা শেয়ারবাজারের ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা হতবাক হয়ে বলছেন, “আজকের দিনটি যেন যেন এক আশ্চর্য পরিণতি, যেখানে দাম বৃদ্ধির ঘরে কোনো হল্টেড প্রতিষ্ঠান নেই। শেয়ারবাজারে পতন হলেও এই ঘটনা ঘটেনি, এটি আমাদের জন্য একেবারেই অচেনা।”
এটি মূলত শেয়ারবাজারের অস্থিরতার একটি নতুন রূপ প্রকাশ করেছে, যেখানে বিক্রেতাদের সংকটের মধ্যেও প্রতিষ্ঠানের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়ে গেল। এমন পরিস্থিতি শেয়ারবাজারের ইতিহাসে কিছুটা অবাক করার মতোই।
আজকের শেয়ারবাজারের এই দুটি অস্বাভাবিক ঘটনা বিনিয়োগকারীদের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একদিকে বিএসইসির কার্যক্রম নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ, অন্যদিকে ডিএসইর হল্টেডহীন দিন, যা শেয়ারবাজারের ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এখন দেখার বিষয়, এই পরিস্থিতি কিভাবে শেয়ারবাজারের অস্থিরতা কাটিয়ে ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও সুদৃঢ় এবং নিরাপদ একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক হবে।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বিসিবির নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ ৫ জন
- প্যারোলে মুক্তি পেল আওয়ামী লীগ নেতা
- নির্বাচনী আসন ভাগাভাগি করলো এনসিপির প্রার্থীরা
- মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন নাম দিল আইসিসি
- সুখবর: দীর্ঘ অপেক্ষার পর আরব আমিরাতের ভিসা চালু
- নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার
- শান্ত বাদ, তবে নতুন অধিনায়ক মিরাজ নয়
- বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সরাসরি জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনা ও মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের তুলসীর বৈঠক নিয়ে যা জানা গেল
- দুই আসন থেকে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- বড় সুখবর পেল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা