ঢাকা, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

সেহরিতে যা যা খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ০৯ ১৮:৩৮:৫২
সেহরিতে যা যা খাবেন

রোজার সময় সেহরির খাবার দিনের শক্তির প্রধান উৎস। তাই সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সারাদিন ক্লান্তি কম অনুভূত হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেহরিতে এমন খাবার রাখা উচিত যা দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে শক্তি সরবরাহ করে এবং পানির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।

সেহরি কখন করবেন?

সেহরি শেষ সময়ের কাছাকাছি করাই উত্তম, অর্থাৎ আজানের কিছুক্ষণ আগে। দেরিতে সেহরি করলে শরীর দীর্ঘ সময় শক্তি ধরে রাখতে পারে এবং পানিশূন্যতার ঝুঁকি কমে। সেহরি শেষে ফজরের নামাজ আদায় করে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা হজমের জন্য ভালো। তবে খাবার শেষ করেই ঘুমিয়ে পড়লে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।

সেহরিতে কী খাবেন?

১. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: ডিম, মুরগির মাংস, মাছ, দুধ, বাদাম, পনির ইত্যাদি খাবার রাখলে সারাদিন শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

২. শর্করা ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: ভাত, ডাল, ওটস, ছোলা, শাকসবজি, ব্রকলি, আপেল ইত্যাদি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সহায়ক।

3. পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: কলা, পালং শাক, মটর, মাশরুম ইত্যাদি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৪. ফাইবার যুক্ত উপাদান: ইসুপগুলের ভুষি পানির ঘাটতি কমায় ও হজমে সহায়তা করে।

৫. খেজুর: এটি প্রাকৃতিকভাবে শক্তি বৃদ্ধি করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।

৬. পানি ও পানিযুক্ত ফল: পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং তরমুজ, শসা, আপেলের মতো পানিযুক্ত ফল খাওয়া উপকারী।

সেহরিতে কী খাবেন না?

১. অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার: এগুলো অ্যাসিডিটি ও হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে।

২. তেলে ভাজা খাবার: পরোটা, পেয়াজু, চপ ইত্যাদি এড়িয়ে চলা ভালো, কারণ এগুলো হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

৩. চা ও কফি: ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান করলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং দিনের বেলায় ক্লান্তি ও পেট জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে।

৪. অতিরিক্ত চর্বি ও ফাস্টফুড: এগুলো হজমে সমস্যা করে এবং দ্রুত ক্ষুধার্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

৫. অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার: অতিরিক্ত মিষ্টি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, যা পরে শক্তির ঘাটতি তৈরি করতে পারে।

সেহরিতে পানি পান করার সঠিক নিয়ম

একবারে প্রচুর পানি না খেয়ে ধাপে ধাপে ২-৩ গ্লাস পানি পান করুন।

ইসুপগুলের ভুষি ও শরবত পান করুন, যা হজমে সহায়তা করবে এবং পানি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

ডিহাইড্রেশন এড়াতে পানির পাশাপাশি ফলমূল ও শাকসবজি রাখুন খাদ্যতালিকায়।

উপসংহার

সেহরি এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে এটি সারাদিন শরীরে শক্তি সরবরাহ করে, পানিশূন্যতা রোধ করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করলে রোজা রাখা সহজ হবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে। তাই সঠিক পরিকল্পনায় সেহরি করুন এবং সুস্থ থাকুন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ