ঢাকা, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

রোজায় পানিশূন্যতা রোধে সতর্কতা: কী খাবেন এবং কী এড়িয়ে চলবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ০৮ ১৭:৫০:৪৯
রোজায় পানিশূন্যতা রোধে সতর্কতা: কী খাবেন এবং কী এড়িয়ে চলবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রোজা হলো আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সময়, কিন্তু দীর্ঘ সময়ের উপবাস শরীরের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। একে তো শারীরিক ক্লান্তি, তার ওপর পানিশূন্যতার অদৃশ্য ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলে থাকেন, রোজার মাসে সেহরি ও ইফতারে পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে শরীরের প্রয়োজনীয় তৃষ্ণা মেটানোর জন্য কয়েকটি খাবার রয়েছে, যেগুলো না খাওয়াই ভালো। চলুন, জানি কোন খাবারগুলো রোজায় পানিশূন্যতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

১. লবণাক্ত খাবার

চিপস, আচার, টিনজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাংস — এগুলো খেলে মনে হতে পারে যেন শরীরটা একটু ফ্রেশ হয়ে গেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই ধরনের খাবারে উচ্চ পরিমাণে লবণ থাকে, যা শরীরের কোষ থেকে পানি শুষে নিয়ে যায়। এর ফলস্বরূপ, দিনের বেলা তৃষ্ণা বেড়ে যায় এবং শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই, সেহরি বা ইফতারে এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

২. ক্যাফিনযুক্ত পানীয়

কফি, চা, সোডা – এগুলো খুবই জনপ্রিয় পানীয়, কিন্তু ক্যাফেইন থাকায় এগুলো মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ এগুলো শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। একদিনে যদি এক কাপ কফি খান, তাতে সমস্যা হবে না, তবে যদি এই পানীয়গুলো রোজার সময় নিয়মিত পান করেন, তাহলে পানিশূন্যতার ঝুঁকি বাড়বে। তাই, রোজার মাসে সেহরির সময় এসব পানীয় পরিহার করা উচিত।

৩. চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়

মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ কম নয়, বিশেষ করে রোজায়। তবে মিষ্টি খাবার যেমন পেস্ট্রি, চকলেট, সোডা বা এনার্জি ড্রিংক শরীরে চিনির মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে তৃষ্ণার অনুভূতি আরও তীব্র হতে পারে। এসব খাবার খেলে শরীর দ্রুত পানির জন্য চাইবে, কিন্তু এই সময় পানীয় গ্রহণ করা তো সম্ভব নয়। তাই, রোজায় মিষ্টির প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ যেন আপনার শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর না হয়ে ওঠে।

৪. ভাজাপোড়া খাবার

চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, অন্যান্য ভাজাপোড়া খাবারের কাছে অনেকেই প্রলোভিত হন। তবে এগুলো শরীরের জন্য তেমন ভালো নয়। এই খাবারগুলোতে অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা শরীরে অলসতা এবং পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া, এসব খাবারের হজমে সময় লাগে এবং শরীরকে পুরোপুরি হাইড্রেটেড রাখতে বাধা দেয়।

রোজা রাখার সময় আমাদের শুধুমাত্র খাবারের প্রতি যত্নশীল হতে হয় না, আমাদের পানির প্রতি যত্নশীল হতে হয়। স্বাস্থ্যকর, হালকা এবং পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পানে শরীর থাকবে সুস্থ, শক্তিশালী এবং পানিশূন্যতা থেকেও মুক্ত। তাই, রোজায় যেসব খাবার পানিশূন্যতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন, এবং নিয়মিত হাইড্রেটেড থাকার চেষ্টা করুন।

তমাল/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ