ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

রোজাদার ব্যাক্তির ইফতারের আগের মুহূর্তের গুরুত্ব ও ফজিলত

২০২৫ মার্চ ০৬ ১৭:৪২:৫৭
রোজাদার ব্যাক্তির ইফতারের আগের মুহূর্তের গুরুত্ব ও ফজিলত

ইফতার সময় মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ ও বরকতময় মুহূর্ত। সারাদিনের রোজা শেষে এই মুহূর্তে আল্লাহর রহমত ও দোয়া কবুল হওয়ার সুযোগ থাকে। রোজাদাররা অতি ক্ষুধা ও তৃষ্ণার মাঝেও সূর্যাস্তের অপেক্ষা করে থাকেন, আর এই সময় মহান আল্লাহ তাদের প্রার্থনা ও আশা পূর্ণ করেন।

দোয়া কবুলের সময়:

রমজান মাসে ইফতারের সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একে বিশেষ একটি মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এই সময় রোজাদারের দোয়া গ্রহণযোগ্য হয়। রাসূল সা. বলেছেন, "ইফতার করার সময় রোজাদারের দোয়া কবুল হয়ে থাকে" (আবু দাউদ)। তাই অনেকেই এই সময় পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হয়ে দোয়া করেন।

ইফতার করানোর ফজিলত:

একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, "রমজান মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহ মাফ হবে, সে দোজখ থেকে মুক্তি পাবে, এবং রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে, তবে রোজাদারের সওয়াব কমবে না।" (জামে তিরমিজি)।

তাড়াতাড়ি ইফতার করা:

ইফতার সময় যত তাড়াতাড়ি করা হবে, তত ভালো। রাসূল সা. বলেছেন, "লোকেরা কল্যাণে থাকবে যতক্ষণ তারা ইফতার দ্রুত করবে।" (বুখারী, মুসলিম)

খেজুর দিয়ে ইফতার:

ইফতার শুরু করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো খেজুর দিয়ে। হাদিসে বলা হয়েছে, "যখন তোমাদের মধ্যে কেউ রোজা ভাঙে, সে যেন খেজুর অথবা খোরমা দিয়ে ইফতার করে।" খেজুর বরকতদায়ক এবং পানি পবিত্রকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

খুশির মুহূর্ত:

ইফতারের সময় রোজাদারের জন্য দুটি বিশেষ খুশির মুহূর্ত থাকে: একটি হচ্ছে আল্লাহর সাক্ষাত, আরেকটি হচ্ছে ইফতারের সময়। (সহিহ বুখারি)।

এগুলো হলো সেই মুহূর্তের ফজিলত ও গুরুত্ব যা রোজাদারের জন্য বিশেষ এক আশীর্বাদ হিসাবে এসেছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে