ঢাকা, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫, ২১ ফাল্গুন ১৪৩১

রোজায় সুস্থ থাকতে ইফতারের সময় যা খেয়াল রাখবেন

২০২৫ মার্চ ০৫ ২০:৩৮:০২
রোজায় সুস্থ থাকতে ইফতারের সময় যা খেয়াল রাখবেন

রমজান মাসে সুস্থ থাকতে হলে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। এসময় শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

পানিশূন্যতা রোধে করণীয়

রোজার সময় শরীরকে হাইড্রেট রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেহরি ও ইফতারের মধ্যে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। এছাড়া ডাবের পানি, ফলের রস এবং ঠাণ্ডা পানি পান করলে শরীর সতেজ থাকবে। তবে চিনিযুক্ত পানীয় পরিহার করা ভালো, কারণ এতে পানিশূন্যতা বাড়তে পারে। খাবারের তালিকায় শশা, তরমুজ ও কমলালেবুর মতো পানিসমৃদ্ধ ফল রাখা উচিত, যা শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস গঠন

রমজানে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেহরিতে প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীর দীর্ঘক্ষণ কর্মক্ষম থাকবে এবং হজমপ্রক্রিয়া ভালো থাকবে। পনির, বাদাম ও ডালজাতীয় খাবার সেহরির জন্য উপযুক্ত। এছাড়া ভাজা খাবারের পরিবর্তে ভাপানো ও সিদ্ধ খাবার গ্রহণ করা ভালো। চিনি ও অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

ইফতারের সময় যা খেয়াল রাখবেন

ইফতারের সময় অতিরিক্ত ভারী খাবার না খাওয়াই ভালো, এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। ইফতার শুরু করা উচিত খেজুর ও পানি দিয়ে, যা শরীরের এনার্জি দ্রুত ফিরিয়ে আনবে। এরপর হালকা ও সুষম খাবার খাওয়া উত্তম, যাতে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি বজায় থাকে। ভাজা ছোলা, ড্রাই ফ্রুটস এবং দইয়ের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার ইফতারে রাখা যেতে পারে।

ব্যায়ামের সময় ও ধরন

রমজানে ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এতে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে। তবে হালকা যোগব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটি করলে শরীর সচল থাকবে। ইফতারের পর হালকা স্ট্রেচিং বা কার্ডিও ব্যায়াম করা যেতে পারে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হবে।

সতর্কতা ও সুস্থতার জন্য পরামর্শ

চা-কফির মতো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় কমিয়ে দিন, কারণ এগুলো শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে।

ইফতারের পর ধীরে ধীরে খাবার গ্রহণ করুন, যাতে হজমের সমস্যা না হয়।

সেহরি বাদ না দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খান, যা দীর্ঘসময় শরীরে শক্তি ধরে রাখতে সহায়ক হবে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম নিশ্চিত করুন, যা শরীরকে সুস্থ ও ফ্রেশ রাখবে।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা মেনে চললে রোজার সময় শরীর সুস্থ ও ফিট রাখা সম্ভব। তাই নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে খাবার ও পানীয় গ্রহণ এবং হালকা ব্যায়াম করে সুস্থতা বজায় রাখা উচিত।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে