ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

শেষ হলো ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মার্চ ০৪ ২২:০৮:০৮
শেষ হলো ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ

দুবাইতে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উত্তেজনাকর ম্যাচটি ১১ বল হাতে রেখে জিতেছে ভারত।

অস্ট্রেলিয়া ইনিংস

অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬৪ রান সংগ্রহ করলেও তাদের শুরুটা ছিলো অগ্নিমূল্য। ট্রাভিস হেড (৩৯) এবং স্টিভেন স্মিথ (৭৩) ঠিকঠাক শুরুর পরেও বাকি ব্যাটসম্যানরা বেশি রান তুলতে পারেননি। অ্যালেক্স কেয়েরি (৬১) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও, শেষ দিকে আর কোনো ব্যাটসম্যানই নিজেদের ইনিংসকে বড় করতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় ব্যর্থতা ছিল গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৭), বেন ডোয়ারশুইস (১৯), এবং আদম জাম্বার (৭) দ্রুত আউট হওয়া।

ভারতীয় বোলিং:

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ শামি ছিলেন সেরা (৩ উইকেট), তবে জাদেজা ও ভারুন চক্রবর্তীর দুইটি করে উইকেট তাদের দলকে ম্যাচে শক্তিশালী অবস্থানে রাখে। হার্দিক পান্ডিয়া এবং অক্ষর প্যাটেলও রান আটকাতে সাহায্য করেন।

ভারতীয় ইনিংস (২৬৫ রান লক্ষ্য)

ভারতের লক্ষ্য ছিল ২৬৫ রান, যা তাদের জন্য তেমন কঠিন কিছু ছিল না। তবে, শুরুতে ভারতেরও কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। শুবমান গিল (৮) এবং রোহিত শর্মা (২৮) দ্রুত ফিরে যাওয়ায় চাপ বাড়ে। কিন্তু বিরাট কোহলি (৮৪) এবং শ্রীয়াস আয়ার (৪৫) দায়িত্ব নিয়ে ভারতের ইনিংসকে পুনরুদ্ধার করেন। তাদের ধারাবাহিকতা এবং কেএল রাহুল (৪২) ও রভিন্দ্র জাদেজার (২) শেষ মুহূর্তে দারুণ কৌশল ভারতকে ফাইনালে নিয়ে যায়।

অস্ট্রেলিয়ার বোলিং:

অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ে বেঞ্জামিন ডোয়ারশুইস (১ উইকেট) এবং আদম জাম্বা (২ উইকেট) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও তাদের শক্তিশালী পারফরম্যান্স ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারল না। তবে কোপার কননোলি ও নাথান এলিসও একে একে একটি করে উইকেট নেন।

এটি ছিলো এক অবিস্মরণীয় ম্যাচ, যেখানে ভারত শুরুতে কিছুটা হোঁচট খাওয়ার পরও শেষ মুহূর্তের স্নায়ুক্ষয়ের মধ্যে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স উপস্থাপন করেছে। বিরাট কোহলির মাপের একজন ক্রিকেটার যখন দলের জন্য এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট করেন, তখন তা হয়ে ওঠে অমূল্য। এক সময় ২৬৫ রান তাড়া করা ভারতে বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছিলো, কিন্তু শেষ অবধি ভারত তাদের নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ করে ফাইনালে পৌঁছায়।

এখন ভারতের সামনে ফাইনালের চ্যালেঞ্জ, যেখানে তারা আরও একটি বিশাল দায়িত্বের সঙ্গে মাঠে নামবে। ৬ মার্চ ২০২৫, ফাইনালে ভারতকে দেখা যাবে একটি নতুন ইতিহাস রচনার লক্ষ্যে!

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে